রেকর্ড জনসংখ্যা! চিনকে ছাপিয়ে জনবহুল দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে ভারত

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতবাসীর জন্য বড় খবর! বেশ কয়েক দিন ধরেই বিশেষজ্ঞ মহলে জল্পনা ছিল যে শীঘ্রই জনসংখ্যার (Population) নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। তাঁদের জল্পনা এ বার সত্যি প্রমাণিত হল। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেল ভারত। জানুয়ারিতেও চিনকে ছাপিয়ে যাওয়ার এই খবর সামনে এসেছিল। কিন্তু সেই সময় কোনও সংস্থা এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ বার রাষ্ট্রপুঞ্জও মেনে নিন এই খবর। অর্থাৎ এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হল ভারত।

রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা তহবিলের (United Nations Population Fund) তথ্য অনুসারে, চিনের থেকে ভারতে এই মুহূর্তে ২৯ লক্ষ মানুষ বেশি বসবাস করছেন। কিন্তু ভারত কবে চিনের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। জনসংখ্যা তহবিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যা এই মুহূর্তে ৮০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা তহবিলের এই রিপোর্টটির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘কোটি কোটি জীবন, অফুরন্ত সম্ভাবনা।’ 

india population

রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্ট অনুসারে, এই মুহূর্তে ভারতের মোট জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষে। সেখানে চিনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লক্ষ। অর্থাৎ চিনের থেকে ২৯ লক্ষ বেশি মানুষ বসবাস করেন ভারতে। ১৯৫০ সাল থেকেই বিশ্বের জনসংখ্যার হিসেব রেখে চলেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এত বছরে এই প্রথম এই নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গেল ভারত। 

রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা তহবিলের মিডিয়া উপদেষ্টা অ্যানা জেফারিস বলেন, “ভারতের জনসংখ্যা কখন কী ভাবে চিনের থেকে বেশি হয়ে গেল তা এখনও স্পষ্ট নয়।” বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিন ও ভারতের মধ্যে সরাসরি তুলনা করা যায় না। তার কারণ দু’দেশের তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতি কিছুটা আলদা। অ্যানা জেফারিস আরও জানান, এই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে গত বছর চিনের জনসংখ্যা শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে এটি কমতে শুরু করেছে। 

india population

একই সময়ে ভারতের জনসংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যদিও ১৯৮০ সাল থেকে ভারতের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার নীচের দিকেই রয়েছে। এর অর্থ ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে ঠিকই, তবে এই বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় অনেকটাই কম। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতের ২৫ শতাংশ জনসংখ্যার বয়স ১৪ বছরের মধ্যে। পাশাপাশি, ১৮ শতাংশ মানুষের বয়স ১০ থেকে ১৯ বছর। একইসঙ্গে, দেশে ২৬ শতাংশ মানুষের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছর।

রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টে আরও একটি বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ভারতের ৬৮ শতাংশ মানুষের বয়স ১৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। এছাড়াও ৭ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছর। অন্যদিকে, চিনের ১৪ শতাংশ মানুষের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে। তবে চিনের মানুষের আয়ু ভারতের মানুষের চেয়ে কিছুটা বেশি। চিনে একজন মহিলা গড়ে ৮২ বছর অবধি বাঁচেন। পুরুষরা বাঁচেন গড়ে ৭৬ বছর অবধি। কিন্তু ভারতে মহিলাদের গড় আয়ু হইল ৭৪ বছর। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি মাত্র ৭১ বছর।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর