বাংলাহান্ট ডেস্ক : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান একটি অঙ্গ। ছোটবেলায় সহজপাঠ থেকে শুরু হয় রবীন্দ্রনাথের সাথে আমাদের প্রথম পরিচয়। এরপর ধীরে ধীরে আমরা ডুব দিতে থাকি কবি গুরুর সৃষ্টি সাগরে। এবার বাঙালির সংস্কৃতির অন্যতম ধারক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জুড়ে যাচ্ছেন বাঙালির সবথেকে প্রিয় ভ্রমণ ডেস্টিনেশন দিঘার সাথে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন এ আবার কি করে সম্ভব? আপনাদের বলে রাখি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি সাগরে মিশে যাচ্ছে দিঘার সমুদ্র সৈকত। বাঙালির হাতে ছুটি আসলেই বাঙালি দিঘার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়, সবার সাথে স্বল্প খরচায় ঘোরার জন্য আদর্শ স্থান দিঘা।
কিন্তু কেমন হবে সমুদ্রের ঢেউ এর সাথে ছোট্টবেলার সহজপাঠ পড়তে? এবার সমুদ্রের মাদকতার সাথে মিশে যাবে শৈশবে স্মৃতি। পর্যটকদের আকর্ষণ করতে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দিঘাকে (Digha)। দিঘাকে নতুন রূপে পর্যটকদের সামনে আনতে উদ্যোগী দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
কবিগুরুর জন্মদিনে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে সহজ পাঠ দিয়ে সাজানো হবে দিঘাকে। সমুদ্রের খুব কাছেই তৈরি হচ্ছে বিশ্ব বাংলা উদ্যান। সেই উদ্যানের দেওয়াল সাজিয়ে তোলা হয়েছে সহজপাঠের ‘‘ক খ গ ঘ” এবং সাদা কালো রঙে আঁকা হচ্ছে খোকার অবয়ব, বাদল দিনের কথা ইত্যাদি দিয়ে।
সৌন্দর্যায়নের সাথে সাথে বাঙালির সংস্কৃতিকে অক্ষুন্ন রাখতে দিঘাকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে সহজ পাঠের ভাষায়। শিল্পী নন্দলাল বসু যেভাবে সহজপাঠকে সাজিয়েছিলেন, ঠিক সেই ভাবেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে দিঘাকে। উদ্যানের দেওয়াল জুড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে সহজ পাঠের স্বরবর্ণ। দিঘার এই নতুন রূপ স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের আনন্দ দেবে।