প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ভুয়ো প্রার্থী! হাতেনাতে পড়লেন ধরা, তারপর?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ভুয়ো শিক্ষক, অফিসার, পুলিশের পর এবার ভুয়ো পরীক্ষার্থী (Fake Aspirant)। বর্তমানে চলছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (Primary Teacher Recruitment) ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে তাজ্জব কাণ্ড। প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে (Interview) হাজির এক ভুয়ো পরীক্ষার্থী। এদিন ২০১৪ ২০১৭ সালের টেটের (TET) ইন্টারভিউ চলাকালীন হাতেনাতে ধরা পরল ভুয়ো পরীক্ষার্থী, ধরলেন পরীক্ষকরা। তুঙ্গে শোরগোল।

প্রসঙ্গত, গতকাল ২৪ পরগনা জেলার চাকরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। সেই ইন্টারভিউতেই হাজির হয়েছিলেন বাপ্পা দেবনাথ নামের এক ফেক প্রার্থী। জানা গিয়েছে ওই জেলারই গাইঘাটার মরাল ডাঙার বাসিন্দা তিনি। তবে অসঙ্গতি দেখায় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পরীক্ষকরা।

এরপর বহুক্ষণ ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে। তাজ্জব এই ঘটনা বিষয়ে বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারি ডঃ পার্থ কর্মকার জানান, গতকাল প্রাইমারি টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ড এর ইন্টারভিউ চলাকালীন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার এক পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় হাফে এসেছিল। তার নাম বাপ্পা দেবনাথ।

primary tet

তিনি বলেন, “আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি, তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছি। ভেরিফিকেশন টেবিলে যারা ছিলেন তারাই আমাকে বলেন সার্টিফিকেটটা কেমন লাগছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে PTI সেল আছে, সেই সেকশনের যারা ইনচার্জ আছেন তাদেরকে ডাকা হয়। এরপর সব রেকর্ড সবকিছু দেখা হয়।”

তবে ইন্টারভিউ শুরু হতেই পরীক্ষার্থীকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখাতে জন্য বললে দেখা যায়, যে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্ট্রি এডুকেশনের সার্টিফিকেট দেখানো হয় সেটি ভুয়ো। ২০১৬ সালের রেজিস্ট্রেশন সেই সার্টিফিকেট ভুয়ো। এরপর তার অ্যাডমিট কার্ড, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন যাচাই করতে গেলে পরীক্ষকরা লক্ষ্য করেন সব কটি নথিই ফেক। তার যে কলেজের নাম রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এই নামে সার্টিফিকেট বেরিয়েছে। সেকশন অথরিটি জানায় সেই রেজিস্ট্রেশনও ভুয়ো।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর