বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের শিল্প জগতের রতন টাটা (Ratan Tata) এক অনন্য নাম। লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা। একদিকে তিনি যেমন টাটা কোম্পানিকে পৌঁছে দিয়েছেন অন্য উচ্চতায়, তেমনই দেশের স্বার্থে করেছেন বহু জনকল্যাণমূলক কাজ। সারা পৃথিবীর কাছে রতন টাটা এক আদর্শ ব্যবসায়ীর নাম।
কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি নিজেদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্প্রতি রতন টাটাকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দিল। এর আগেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন রতন টাটা। কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া সরকার রতন টাটাকে তাদের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করে।
সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় সকলের হাতে তুলে দেন সাম্মানিক ডক্টরেট। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর সত্যম রায়চৌধুরী বলেছেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন এসেছে বিগত কয়েক বছরে। প্রযুক্তির হাত ধরে শিক্ষা ও শেখার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন এসেছে।”
এরই সাথে তার বক্তব্য, ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা প্রয়োজন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। সেই প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন আরও বিকশিত হওয়া। নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যাপারটি বুঝতে পেরে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছে। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি রতন টাটার সাথেই আরোও অনেককে সাম্মানিক ডক্টরেট দিয়েছে।
সেই তালিকায় উঠে এসেছে একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের নাম। বিখ্যাত সরোদ বাদক ওস্তাদ আমজাদ আলী খান, বন্ধন ব্যাংকের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ, লেখক, ঔপন্যাসিক ও গবেষক মণি শঙ্কর মুখার্জি, ভারতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের পরিচালক সংঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়, বিশিষ্ট লেখক, অনুবাদক, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মার্টিন ক্যাম্পচেন প্রমুখ ব্যক্তিদের।