বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার রীতিমতো অলৌকিক একটি ঘটনা সামনে এল বীরভূম (Birbhum) থেকে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সেখানে মন্দিরে থাকা মা মনসার মূর্তির খোলা চোখ হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায়। আর এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। অবাক করা এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার অন্তর্গত ডাঙ্গালতলার মনসা মন্দিরে।
জানা গিয়েছে, আর পাঁচটা দিনের মতোই একেবারে ভোর থেকেই মন্দিরে আসছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি, তখন চলছিল মন্দির পরিষ্কারের কাজও। সেই সময়েই মা মনসার মূর্তির দিকে তাকাতেই দেখা যায় যে, দেবীর চোখ দু’টি বন্ধ হয়ে রয়েছে। অথচ, একদিন আগেও সেগুলি খোলা ছিল। আর ওই দৃশ্য দেখেই স্তম্ভিত হয়ে যান এলাকাবাসী। পাশাপাশি, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ছড়ায় তুমুল চাঞ্চল্যও।
শুধু তাই নয়, দেবীর চোখ বন্ধ অবস্থা চাক্ষুস করতে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই মন্দিরে ভিড় জমাতে থাকেন মানুষ। এদিকে, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্দিরের সেবায়েত দিলীপ গড়াই জানিয়েছেন, কী করে এটি ঘটল হয়েছে তা সত্যিই অজানা। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকালে এসেই তাঁরা দেখতে পান মা মনসার চোখ বন্ধ রয়েছে। আর এই ঘটনার প্রসঙ্গ ছড়িয়ে পড়তেই বিপুলসংখ্যক মানুষ মন্দিরে চলে আসেন।
পাশাপাশি, এহেন “অলৌকিক ঘটনা” তাঁরা এর আগে প্রত্যক্ষ করেননি বলেও জানিয়েছেন। এদিকে, একজন স্থানীয় বাসিন্দা আরও জানিয়েছেন, ঠাকুরের মুখ জল দিয়ে ধুতে গিয়ে দেখা যায় যে, ফের খুলে গিয়েছে চোখ। এনতাবস্থায়, এই কথা শুনেই অনেকে মনে করছেন যে, হয়তো ঠাকুরের চোখে কেউ কোনোভাবে রং জাতীয় কিছু লাগিয়ে দেওয়ায় ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যার ফলে জল দিতেই উঠে গিয়েছে সেই রং।
এদিকে, কেউ কেউ আবার এই সামগ্রিক বিষয়টিকে “দৈবিক ঘটনা” হিসেবে বিবেচিত করেছেন। যদিও, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূমের সিউড়িতে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য দেবাশীষ পাল জানিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ অলৌকিক একটি ঘটনা। পাশাপাশি, বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই বলেও জানান তিনি। এমতাবস্থায়, পুরো বিষয়টির উপর তাঁরা নজর রাখছেন।