এই লেকের জল রক্তের মতো লাল! অবিশ্বাস্য এই রঙের পেছনে রয়েছে অবাক করা কারণ, চলাচল করে ট্রেনও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন না এমন মানুষ রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। একটু সময় পেলেই আমরা ঢুঁ মারি নেটমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মগুলিতে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই এমন কিছু ছবি এবং ভিডিও সামনে আসে যেগুলি দেখার পর রীতিমতো বিশ্বাস করাই কঠিন হয়ে পড়ে। সেই রেশ বজায় রেখেই বর্তমানে আরও একটি চমকপ্রদ ভিডিও সামনে এসেছে।

মূলত, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে রক্তের মতো লাল রঙের একটি লেক দেখা গিয়েছে। তবে, এখানেই শেষ নয়, ওই লেকের ওপর দিয়েই অবলীলায় চলতে দেখা গিয়েছে ট্রেনকেও। এমতাবস্থায়, অনেকেই এই ভিডিওটিকে “ভুয়ো” বলে মনে করলেও এইরকম লেক কিন্তু সত্যিই আছে। মূলত, সাইবেরিয়ায় এমন একটি লেকের দেখা মেলে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সাইবেরিয়া অত্যধিক ঠান্ডার জন্য বিখ্যাত হলেও গ্রীষ্মকালে সেখানকার এক আলাদা দৃশ্য এবং সৌন্দর্য পরিলক্ষিত হয়। এদিকে, আমরা সাধারণত লেকের জল স্বচ্ছ অথবা নীলাভ অবস্থায় দেখলেও ভিডিওতে থাকা লেকের জলের রঙটি অবাক করেছে সবাইকেই।

ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি @gunsnrosesgirl3 নামের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয়েছে। এই টুইটার হ্যান্ডেল থেকে প্রায়শই নানান অবাক করা ভিডিও পোস্ট করা হয়। সম্প্রতি, এই অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, রক্তের মতো লাল রঙের ওই লেকের মাঝখান দিয়ে একটি ট্রেন চলে যাচ্ছে।

এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে, ওই অদ্ভুত সুন্দর লেকটির নামটি কি? জানিয়ে রাখি যে, ওই লেকের নাম হল বার্লিনস্কোই লেক (Burlinskoye Lake)। এটিকে সাইবেরিয়ার গোলাপী হ্রদও বলা হয়। দ্য ড্রাইভ ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বার্লিনস্কোই লেকটি কাজাখস্তান সীমান্তে অবস্থিত রয়েছে।

শুধু তাই নয়, গ্রীষ্মকালে এই হ্রদের রঙ লাল হয়ে যায়। এর কারণ হল এই হ্রদে গ্রীষ্মের দিনে আর্টেমিয়া স্যালিনা নামের ক্ষুদ্র প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এমতাবস্থায়, ওই প্রাণীগুলির হিমোগ্লোবিন পিগমেন্টেশনের কারণে লেকের জলের রঙ পরিবর্তিত হয়। এদিকে, এই লেকের মাঝখানে একটি রেলপথও রয়েছে। যার ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল সোভিয়েত যুগে। সেই সময় থেকেই লেকের মাঝখান দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর