বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট পূর্বে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে একেবারে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শালবনিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখান থেকে দলের অন্দরের কোন্দল নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় নেতা-কর্মীরা যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া না করে, তা হলে কেউ তৃণমূলকে দমাতে পারবে না বলেও মনে করেন মাননীয়া।
বিগত কিছু মাস ধরে রাজ্যের একের পর এক স্থান থেকে উঠে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর। যার তালিকায় রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, মেদিনীপুর সদরও। এবার এই নিয়েই দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রথম সারির একদল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ককে একেবারে নাম ধরে ধরে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এভাবেই কোন্দল চলতে থাকলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তৃণমূল প্রধান।
ঠিক কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী? এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঝগড়া না করলে তৃণমূলকে হটাবার ক্ষমতা কারও নেই। নিজেদের মধ্যে যদি বোঝাপড়া থাকে তা হলে তৃণমূল দিল্লিকে লড়ে নেবে। পঞ্চায়েত তো ছোট্ট, বড়টা (লোকসভা) তো বসে রয়েছে।”
তার কথায়, “পঞ্চায়েত শক্তিশালী হলে তবেই তো বড়টাকে ধাক্কা মারতে পারবেন। আমাকে কথা দিন পঞ্চায়েতে ঝগড়া করবেন না। কোনও গদ্দারের সঙ্গে যাবেন না।” এদিন সভা মঞ্চে উপস্থিত বিধায়ক ও অভিষেককে ডেকে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ‘ভিকট্রি’ সাইন দেখান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি দেখতে চাই মেদিনীপুর সব থেকে ভালো ফল করেছে। ছোট ছোট গন্ডগোল হলে মিটিয়ে নেবেন। থালা-বাটি একসঙ্গে থাকলে ঠোকাঠুকি লাগতে পারে, এটা নিজেদের মেটাতে হবে। না হলে মানুষ কিন্তু ক্ষমা করবে না।” জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির নাম করে পরামর্শ দেন মমতা।
বলেন, “অজিত অনেক পুরোনো কর্মী। দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে আছে। এখন অনেকে অজিতের কথা শোনে না। ওর অবশ্য একটু দোষ আছে। গ্রুপিজম করে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।” পাশাপাশি মানস ভুঁইয়া, দীনেন রায় থেকে শিউলি সাহা, জুন মালিয়াদেরও নানা পরামর্শ দেন নেত্রী। পঞ্চায়েত ভোটে দল যাকে টিকিট দেবে তাকেই দলের সমস্ত নেতা-কর্মীদের সমর্থন করতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন মমতা।