বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতিতে (Municipal Recruitment Scam) নয়া মোড়! এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের বল গড়াল সরকারি দফতরে (WB Govt Department)। বিগত ৮ বছর ধরে রাজ্য জুড়ে সব পুরসভার নিয়োগ ঠিক কী প্রক্রিয়া মেনে হয়েছে, কোন পদ্ধতিতে হয়েছে এবং ক’জনের চাকরি হয়েছে, তা জানতে চেয়ে এবার চিঠি পাঠালো ইডি (ED)।
জানিয়ে রাখি, পুর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে এই প্রথম রাজ্যের ২ দফতরকে চিঠি পাঠালো গোয়েন্দা সংস্থা। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ও মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুর নগরোন্নয়ন দফতর রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) হাতে। এ বার পুরমন্ত্রীর দফতরেই দুর্নীতির তদন্তে চিঠি ইডির। গতবছর থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়প্রমান দুর্নীতির পর এবার পুর নিয়োগে দুর্নীতির খোঁজে তদন্তে গতি বাড়াতে চাইছে ইডি।
তদন্তের স্বার্থে প্রথমবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন এবং মিউনিসিপ্যাল সার্ভিসকে চিঠি দিল গোয়েন্দা সংস্থা। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগের প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল এই দপ্তর। ২০১৭ সাল থেকে কিভাবে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা গুলিতে নিয়োগ হয়েছে, কোন কোন সংস্থা টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্বে ছিল? কাদের দ্বারা নিয়োগ হয়েছে? এই সকল তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আপাতত রিপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা ইডির। দুই দপ্তরের রিপোর্ট পেলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর দুর্নীতির হদিস মেলে বলে দাবি ইডির।
অয়ন শীলের সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পুর নিয়োগের তালিকা। এরপরেই শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায় ধৃত প্রোমোটার তথা প্রযোজক অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজেনের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সব পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই খোঁজ চালিয়েই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেই দুর্নীতির গোড়াতে পৌঁছতেই এবার রাজ্যের ২ দফতরকে চিঠি ED-র।