বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েতে ভোটের ঢাকে কাঠি। বহু কল্পনা-জল্পনার পর অবসান ঘটিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। দায়িত্বে রাজ্য পুলিশ আর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল আগের বারের ন্যায় এবারেও গোটা রাজ্যে এক দফাতেই হতে চলেছে নির্বাচন।
একদিকে রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন, অন্যদিকে রাজ্যের প্রায় ৭৪ হাজার আসনে ৬ দিন ৪ ঘণ্টা করে মনোনয়ন দেওয়ার সময়সীমা। এই নিয়েই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ মনোয়নের সময় বাড়ানোর মতো দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ইঙ্গিত মিলেছে শুভেন্দু অধিকারীর তরফেও।
তবে এরই মধ্যেই পঞ্চায়েতে ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিধানসভায় মনোনয়ন জমা করলেন বিজেপি প্রার্থীরা (BJP Candidates)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার নন্দীগ্রামে হরিপুর অঞ্চলের ১৪ জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেছেন।
একেবারে ঢাক ঢোল পিটিয়ে মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন পদ্ম শিবিরের প্রার্থীরা। দলীয় সূত্রের খবর, আগামী সোমবার নন্দীগ্রামের বাকি গ্রাম বিজেপি প্রার্থীরা পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা করবেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই একজোটে ময়দানে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যকে তোপ দেগে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হল। সর্বদল বৈঠক নেই, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই, অথচ দিন ঘোষণা হয়ে গেল।” রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের আঞ্চলিক শাখার মতো আচরণ করছে বলেও অভিযোগ তোলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।