একবার নয়, ভারতের এই নোট ব্যান হয়েছিল দু’বার! ৯৯ শতাংশ মানুষ জানেন না এই ইতিহাস

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতে নতুন নোট ছাপানো এবং সেগুলিকে চালানোর দায়িত্ব রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank Of India)-র রয়েছে। এমতাবস্থায়, বর্তমানে আমাদের দেশে এক টাকার কয়েন থেকে শুরু করে একদম ২,০০০ টাকার নোট পর্যন্ত পাওয়া যায়। যদিও, সম্প্রতি RBI ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর সরকার দেশে তৎকালীন ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণা করে।

অর্থাৎ, পুরোনো ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোট ওই ঘোষণার পর থেকেই বাতিল হয়ে যায়। যদিও, পরবর্তীকালে সরকার ৫০০ টাকার নতুন নোট ছাপলেও ১,০০০ টাকার নোটটিকে আর ফিরিয়ে আনা হয়নি। এদিকে, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছিল যে, নোটবন্দির সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও প্রচলিত নোট বাতিলের ঘটনা আমাদের দেশে ঘটেছে। মূলত, এর আগে এমন একটি নোট ছিল যেটি মোট দু’বার নোটবন্দির শিকার হয়। কিন্তু সেই নোট সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। মূলত, আমরা যে নোটটির কথা বলছি তা ১৯৩৮ সালে প্রথম ছাপা হয়েছিল। কিন্তু সেটির যাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র ৯ বছরের মধ্যেই সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

যদিও, এরপরে ওই নোটটিকে ফের একবার ফিরিয়ে আনা হয়। এদিকে, যখন এই নোট আবার বাজারে আসে, তখন ভারত ছিল একটি স্বাধীন দেশ এবং সালটি ছিল ১৯৫৪। দ্বিতীয়বারে নোটটি দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রচলিত ছিল। তারপরে সেটি ফের বাতিল হয়ে যায়। এই নোটটি ছিল ১০ হাজার টাকার।

10000 rupee note 1 62a09710844b9

উল্লেখ্য, যে, দেশে বর্তমানে ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ টাকার নোট প্রচলিত রয়েছে। পাশাপাশি RBI আইন, ১৯৩৪-এর ধারা ২৪ অনুসারে, RBI-এর ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ২০০০, ৫০০০, ও ১০০০০ টাকার নোট ছাপানোর অধিকার রয়েছে। এছাড়াও, দশ হাজার টাকার বেশি নয় এই ধরণের অন্যান্য মূল্যযুক্ত নোট ছাপানোর অধিকারও রয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর