বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময়টা ২০২২ সালের ৩১ মার্চ। উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাংলার রাজ্য রাজনীতি। আর সেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠা পরিস্থিতির পিছনে ছিল একটাই নাম-বগটুই। সেদিনের গণহত্যার কথা মনে করলে আজও যেন শিউরে ওঠেন বগটুইয়ের বাসিন্দারা। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজতেই ফের যেন সম্মুখ সমরে নামল তৃণমূল-বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বগটুইয়ের সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসীর মনে শাসক দলের প্রতি একটা ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করে। আর সেই ‘ইস্যু’কে কাজে লাগাতেই যেন আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)। তৃণমূলের (Trinamool Congress) শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগটুইয়ে এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেন স্বজনহারা পরিবারের সদস্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বরশাগ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে খুনের ঘটনার পরেই পাল্টে যায় বগটুইগ্রামের পরিস্থিতি। সেই রাতে গৃহবন্দী অবস্থায় ১১ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন বাংলায় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে ঠিক তখনই স্বজনহারা পরিবারের পক্ষ থেকে মিহিলাল শেখ বিজেপিতে যোগদান করেন।
শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে মিহিলাল গেরুয়া শিবিরে পা রাখার পর থেকেই বগটুই গ্রামে শাসকের বিরুদ্ধে জোর লড়াই শুরু হয়ে যায় বিজেপির। মিহিলাল সেখ সহ তার পরিবার গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিহিলাল শেখ বলেন “সোমা বিবি মনোনয়ন করেছেন আরও ১জন মনোনয়ন করবেন।”
তৃণমূলকে হারাতে যেন বদ্ধপরিকর নিহতের পরিবার। জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ বিশ্বাসী মিহিলাল শেখ। তিনি আরও জানান, “বগটুই মানুষ বিজেপির পাশে আছেন।” এদিকে, ঘাসফুলও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। এদিকে গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি মার্চ মাসে ঘটনার এক বছর পূর্তিতে তৃণমূলও নিহতদের পরিবারকে সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করে। সব মিলিয়েই, ফলাফলের দিকে তাকিয়ে গোটা গ্রাম।