পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার, দেহব্যবসায় নাম লিখিয়ে কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে যায় এই অভিনেত্রীর!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুম্বইয়ের গ্ল্যামার জগৎ নিয়ে আমজনতার কৌতূহল মারাত্মক। ইন্ডাস্ট্রির বাইরের চাকচিক্য দেখে অনেকেই অন্দরমহলের হাল হকিকত জানার জন্য মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু কথাতেই আছে, যেটাই চকচক করে সেটাই সোনা হয় না। বলিউডের অবস্থাটাও তেমনি। বাহারি জৌলুস দিয়ে অন্দরের মলিনতাকে ঢেকে রাখে এই ইন্ডাস্ট্রি এবং ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা।

ইদানিং বিভিন্ন ঘটনাবলীর জন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আসল চেহারা অনেকের সামনেই চলে এসেছে। মাঝেমধ্যেই উঠে আসে মাদক কাণ্ড বা মধুচক্র ধরা পড়ার মতো খবর। এর জন্য কেরিয়ার নষ্টও হয়ে গিয়েছে অনেকের। এই তালিকায় রয়েছে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের (Shweta Basu Prasad) নামও।

shweta basu

‘মাকড়ি’ ছবির সেই ছোট্ট ‘চুন্নি’ ও ‘মুন্নি’ কে মনে আছে নিশ্চয়ই। শ্বেতা বসু প্রসাদের জনপ্রিয় সেই চরিত্রের কথা কে ই বা ভুলতে পেরেছেন। খুব ছোট বয়সেই অভিনয় জগতে পদার্পণ শ্বেতার। বাবা অনুজ প্রসাদও ছিলেন অভিনেতা। তাঁর দেখাদেখিই অভিনয়ে আগ্রহ জন্মায় ছোট্ট শ্বেতার। মাও ছিলেন সুরকার ও লেখিকা। তিনি ছিলেন বাঙালি। সেই সূত্রে শ্বেতাও দিব্যি ঝরঝরে বাংলা বলতে পারেন।

প্রথমে টেলিভিশনে কাজ শুরু করেন শ্বেতা। ২০০০ সালে শুরু হওয়া জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কাহানি ঘর ঘর কি’-র অংশ ছিলেন তিনি। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘করিশ্মা কা করিশ্মা’, ‘কুতুম্ব’, ‘চন্দ্রনন্দিনী’তে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা।

২০০২ সালে প্রথম বড়পর্দায় সুযোগ পান তিনি। বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘মাকড়ি’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন শ্বেতা। ‘মাকড়ি’ ছবির জন্য সেরা শিশু শিল্পীর ক্ষেত্রে জাতীয় পুরষ্কারও পান তিনি। শুধু হিন্দি নয়, তেলুগু, তামিল ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর একমাত্র বাংলা ছবি ‘ এক নদীর গল্প :টেল অফ এ রিভার’।

Shweta Basu Prasad Sex Scandal

কিন্তু ২০১৪ সালে হঠাতই ছন্দপতন হয়। মধুচক্রের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন শ্বেতা। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হায়দ্রাবাদের একটি হোটেল থেকে অবৈধ যৌন ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অভিনেত্রীকে। পুলিসের তরফে শ্বেতার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, অভাবের কারণেই এই পন্থা বেছে নিয়েছিলেন তিনি।

তারপরেই অবশ্য ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ান শ্বেতা বসু প্রসাদ। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও আসে বড়সড় পরিবর্তন। দীর্ঘদিনের বন্ধু রোহিত মিত্তলের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি। আলিয়া ভাট ও বরুণ ধাওয়ান অভিনীত ‘বদ্রিনাথ কি দুলহনিয়া’ ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। শ্বেতাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’-এ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে মুক্তি পায় এই ছবি।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর