একের পর এক হাইওয়ে উদ্বোধন করে আমেরিকাকে টেক্কা গড়করির! প্রশংসা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের (India) যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে একের পর এক সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারের তরফে। কোথাও কয়েকশো কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির মাধ্যমে দুই শহরের দূরত্ব কমানো হচ্ছে আবার কোথাও ইন্টারলিঙ্ক রোডের মাধ্যমে যান চলাচলকে সহজ করে তোলা হচ্ছে।

এমতাবস্থায়, এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাগপত থেকে রোহনা পর্যন্ত তৈরি হওয়া স্ট্রেচ রোডটিও। এই ৪০ কিলোমিটারের রাস্তার মাধ্যমে ৬ টি রাজ্য উপকৃত হবে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও প্রশংসা করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় আমেরিকাকে টক্কর দেওয়ার মতো রাস্তা তৈরি করেছেন। তিনি সম্প্রতি টুইটারে NH-334B সংযোগকারী স্ট্রেচ রোডের ছবি শেয়ার করেন। এই রাস্তাটি উত্তরপ্রদেশের মিরাট, বাগপত, সোনিপাত, রোহতক, ঝাজ্জার, চরখি দাদরি হয়ে ভিওয়ানির লোহারুতে রাজস্থান সীমান্তে পৌঁছে যাবে।

এই ৪০ কিলোমিটারের রাস্তায় উপকৃত হবে একাধিক রাজ্য: এই প্রসঙ্গে নিতিন গড়করি ট্যুইটে জানিয়েছেন, একটি বড় উদ্যোগ হিসেবে, উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলা থেকে একটি রাস্তা বের করে NH-334B-কে হরিয়াণার রোহনার সাথে সংযুক্ত করা হচ্ছে। রাজস্থান, হরিয়াণা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পাঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডের মানুষও এর সুবিধা পাবেন।

এদিকে, এই স্ট্রেচ রোডটি শেষ হওয়ার পরে, রাজস্থান থেকে হরিয়াণা বা হরিয়াণা থেকে রাজস্থানে আসতে গেলে আর দিল্লির যানজটের মুখোমুখি হতে হবে না। একইভাবে, এটি দিল্লির বাইপাস হিসেবে কাজ করবে এবং উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও হরিয়াণার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।

রাস্তা নির্মাণে প্লাস্টিক ও ছাই ব্যবহার করা হয়েছে: নীতিন গড়করি টুইটে আরও জানিয়েছেন যে, এই রাস্তাটি নির্মাণের ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই রাস্তা তৈরিতে প্লাস্টিক বর্জ্য ও ছাই (ফ্লাই অ্যাশ) ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে খরচ কমানোর পাশাপাশি পরিবেশকেও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো গেছে।

প্রশংসা করেছেন মোদী: এদিকে, নীতিন গড়করির এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্ৰ বিষয়টির প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিও টুইট মারফত জানান, “এটি টেকসই উন্নয়ন এবং উন্নত সংযোগের একটি নিখুঁত মিশ্রণ। যেটি অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করবে।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর