ভারতের এই রহস্যময় মন্দিরে আজ পর্যন্ত পড়েনি ছায়া! এটির ইতিহাস জানলে অবাক হবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাকে দেশের (India) প্রতিটি প্রান্তে রয়েছে হাজার হাজার মন্দির (Temple)। তবে সেই মন্দিরগুলির মধ্যে এমন কিছু প্রাচীন মন্দির থাকে যেগুলির রহস্য আজও অবাক করে সবাইকে। শুধু তাই নয়, কিছু কিছু মন্দিরের আবার রয়েছে অভিনব বৈশিষ্ট্যও। যেগুলি খুব সহজেই আকৃষ্ট করে আমাদের। এমতাবস্থায় বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা ঠিক সেইরকম এক মন্দিরের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব।

মূলত, তামিলনাড়ুর বৃহদেশ্বর মন্দির প্রাচীনতম মন্দিরগুলির মধ্যে একটি। এই মন্দিরটি তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুরে অবস্থিত। এই মন্দিরের এমন একটি চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেটি অনেকেরই অজানা। তবে, সেটি জানার পর সবাই একবার মন্দিরটিতে অবশ্যই যেতে চাইবেন।

প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, ভগবান শিবকে উৎসর্গ করা এই বৃহদেশ্বর মন্দিরটি চোল সম্রাট প্রথম রাজারাজের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই মন্দিরটি চোল রাজবংশের স্থাপত্যের উজ্জ্বল একটি নিদর্শন হয়ে রয়েছে। এই মন্দির নির্মাণের সাথে এমন কিছু উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয় সামিল রয়েছে যা বিশেষজ্ঞদেরও অবাক করে দেয়।

দুপুরে মন্দিরের ছায়া দেখা যায় না: সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই মন্দিরে দুপুরে কোনো ছায়া দেখা যায় না। বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এমনকি, এই ঘটনার রহস্যটি আজও বিজ্ঞানীদের কাছে অমীমাংসিত রয়েছে। শুধু তাই নয়, এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মন্দিরগুলির মধ্যে একটি। তবুও মন্দিরের ছায়া কখনও দুপুরে মাটিতে পড়ে না। বলা হয় যে, মন্দিরটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে বছরের কোনো সময়েই দুপুরবেলায় এখানে ছায়া পড়ে না।

কথিত আছে যে, এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ হলে রাজারাজা চোল, স্থপতিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এই মন্দিরটি কখনও ভেঙে পড়বে কি না। এই প্রশ্নের উত্তরে কারিগর রাজাকে জানিয়েছিলেন, ভেঙে পড়া তো দূর এর (মন্দিরের) ছায়াও কখনও রাজার ওপর পড়বে না।

brihadeeswarar1 (1)

ইউনেস্কো হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: ইতিমধ্যেই আমরা জানিয়েছি এই মন্দিরটি হিন্দু দেবতা শিবকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য প্রধান মন্দিরগুলির মতো এই মন্দিরেও পার্বতী, নন্দী, গণেশ এবং কার্তিকেয়র মন্দিরও রয়েছে। এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটেরও একটি অংশ। মন্দির চত্বরে আরও কয়েকটি মন্দির রয়েছে। যেগুলিকে গ্রেট লিভিং চোল মন্দির বলা হয়। প্রায় ১,০০০ বছর আগে একাদশ শতকে নির্মিত এই বৃহদেশ্বর মন্দিরটি দ্রাবিড় স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর