বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতীয় অর্থনীতি (Indian Economy) যে উন্নতির শিখরে উঠছে তা অস্বীকার করার মতো কোনও জায়গা নেই। বর্তমানে দেশে পরিকাঠামোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। রেলপথ ও সড়ক নির্মাণসহ অন্য খাতেও ইস্পাত বা স্টিল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
তবে দেশে স্টিল উৎপাদন যে আরও বাড়াতে হবে তাতে কোনও সন্দেহই নেই। টাটা স্টিল এবং জেএসডব্লিউ-এর মতো কোম্পানিগুলি ভারতে ক্রমাগত ইস্পাত উৎপাদন বাড়িয়ে চলেছে৷
সর্বোচ্চ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে এখনও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে চিন। বিশ্বের মোট উৎপাদনের অর্ধেকেরও বেশি স্টিল উৎপাদিত হয় চিনে। ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিসটিক্স ডেটা শেয়ার করে জানিয়েছে সারা বিশ্বে মোট উৎপাদনের প্রায় ৫৪ শতাংশই উৎপাদন করে চিন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বে স্টিল উৎপাদনে চিনই রয়েছে সর্বাগ্রে।
ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিক্স যে তথ্য জানিয়েছে, সেই তথ্য মোতাবেক বিশ্বে স্টিল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে চিন ছাড়াও নাম রয়েছে ভারত, জাপান, আমেরিকা, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, তুরস্ক, ব্রাজিল এবং ইরানের।
তথ্য বলছে, স্টিল উৎপাদনের দিক থেকে সারা বিশ্বের মোট উৎপাদনের নিরিখে চিনের একার উৎপাদন ৫৩.৯ শতাংশ। ভারত এই তালিকায় রয়েছে দ্বিতীয়। ভারত গোটা বিশ্বে স্টিল উৎপাদনের নিরিখে ৬.৬ শতাংশ স্টিল উৎপাদন করে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। এশিয়ার এই ছোট্ট দেশটি বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৪.৮ শতাংশ স্টিল তৈরি করে।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার উৎপাদনের পরিমাণ ৪.৩ শতাংশ। রাশিয়া রয়েছে ৫ নম্বরে। রাশিয়া বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৩.৮ শতাংশ ইস্পাত তৈরি করে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া ৩.৫ শতাংশ ও জার্মানি মোট উৎপাদনের ২.০ শতাংশ স্টিল উৎপাদন করে। বাকি তুরস্ক, ব্রাজিল এবং ইরানের মতো দেশের উৎপাদন ২ শতাংশের নিচে। তালিকার সর্বনিম্নে নাম রয়েছে ইউক্রেনের। এই দেশটি গোটা বিশ্বের নিরিখে মাত্র ০.৩৪ শতাংশ স্টিল উৎপাদন করেন। তবে বিশ্বে বহু দেশ রয়েছে যে দেশগুলির স্টিল উৎপাদন ইউক্রেনের থেকেও কম।
দেশের বিখ্যাত শিল্পপতি আনন্দ মাহিন্দ্রা ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিকসের টুইটটিকে রিটুইট করে লিখেছেন, ‘আমি ৮০ এর দশকে ইস্পাত শিল্পে প্রবেশ করি। তখন জাপানিরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। বলা যায় জাপানিরাই ছিল ইস্পাত শিল্পের রাজা। তবে বর্তমানে আমি খুবই খুশি যে এখন আমরা দুই নম্বরে আছি।”