বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেক মানুষই চান জীবনে সফলতা (Success) হাসিল করতে। যার কারণে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে সেটি পূরণের জন্যই এগিয়ে চলেন তাঁরা। এমতাবস্থায়, কেউ কেউ সঠিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করে ফেললেও অনেকে তা পারেন না।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কিছুজন আবার আর পাঁচজনের তুলনায় কিছুটা পৃথক লক্ষ্য স্থির করে তা পূরণ করতে সচেষ্ট হন। আর এভাবেই তাঁরা বাকিদের কাছে হয়ে উঠেন অনুপ্রেরণার উৎস। তবে, স্বাভাবিকভাবেই এই সফলতা হাসিলের পথ যে আদৌ মসৃণ হয় না তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বরং তা প্রতিটি পদক্ষেপে হয়ে থাকে কন্টকাকীর্ণ।
এমতাবস্থায়, সমস্ত রকমের প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখেই সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যান কিছু মানুষ। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। মূলত, আজ আমরা আপনাদের রফিকুলের বিষয়ে জানাবো। যিনি অত্যন্ত কম বয়সে নিজের স্বপ্নপূরণের মাধ্যমে সফলতাকে ছুঁতে পেরেছেন।
শুধু তাই নয়, তিনি চিরাচরিত ধারণার বাইরে গিয়েও এক ব্যতিক্রমী মনোভাব তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ছেলে হয়ে জন্মালেও আর পাঁচজনের মতো দশটা-পাঁচটার চাকরির গণ্ডিতে তিনি নিজেকে বেঁধে রাখেননি। একদম ছোট থেকেই সাজগোজের প্রতি প্রবল আকৃষ্ট ছিল তাঁর। তিনি পছন্দ করেন নিজের মতো করে সবাইকে সাজিয়ে তুলতে।
এমতাবস্থায়, তাঁর হাতের জাদুতে তিনি কখনও নিজেকে সাজিয়েছেন আবার কখনও অন্যদের নতুন রূপদান করেছেন। আর এইভাবেই সময়ের সাথে সাথে তিনি রফিকুল মিরজান থেকে ক্রমশ হয়ে উঠেছেন “পাপ্পু দ্যা মেকআপ আর্টিস্ট”। বর্তমান সময়ে মেকআপ আর্টিস্টদের দুনিয়ায় তিনি এখন অন্যতম পরিচিত এক নাম।
পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মেও তিনি যথেষ্ট সক্রিয় থাকেন। সেখানেই তিনি তুলে ধরেন তাঁর কাজের নমুনা। যা ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে নেটিজেনদের। আর এইভাবেই তিনি ফের একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন ব্যতিক্রমী হতে গেলে প্রয়োজন হয় শুধু অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের। এগুলির উপর ভর করেই ছুঁয়ে ফেলা যায় সাফল্যকে।