বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে ধুন্ধুমার। অন্যদিকে সমস্ত ঘটনাকে ছাপিয়ে গিয়েছে মনোনয়ন পর্বের অশান্তি, রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল বঙ্গ। নির্বাচন পূর্বেই একের পর এক প্রাণহানি, বেলাগাম হিংসা। এবার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ আদালতের। গ্রাম বাংলার ভোট নিয়ে একের পর ইস্যুতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) রোষের মুখে রাজ্য।
ভোটের আগে ১৫ দিনে ৮ মৃত্যু, তাও বাহিনীতে অনীহা কমিশনের! কেন এহেন আচরণ, এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন। গতকালই হাইকোর্টের নির্দেশে শীলমোহর দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদারকিতেই করাতে হবে নির্বাচন।
কোর্টের নির্দেশের পর কার্যত চাপে পড়ে পঞ্চায়েত ভোটে জেলাপ্রতি মাত্ৰ ১ কোম্পানি কেন্দ্ৰীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন। যেখানে একদফায় গোটা রাজ্যে এত বড় নির্বাচন, সেখানে ১ কোম্পানি কেন্দ্ৰীয় বাহিনী দিয়ে কতটা নিরাপত্তা, সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব! এই প্রশ্ন তোলে আদালত।
আদালতের নির্দেশের পরেও কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে অনীহা কমিশনের, এর পেছনে কারণ কী! কার্যত এইসকল প্রশ্নেই বিদ্ধ রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল তা বাস্তবায়িত করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কমিশনার ব্যর্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করে আদালত।
এরপরেই প্রধান বিচারপতি বড় নির্দেশ, ‘কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে না পারলে পদ ছেড়ে দিন কমিশনার। না পারলে পদ ছাড়ুন, নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল।’ নয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করে এই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।