বাংলা হান্ট ডেস্ক : নারদ কেলেঙ্কারিতে (Narada Scam) অভিযুক্ত আইপিএস আধিকারিক সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জাকে রাজ্য পুলিসের ডিরেক্টরেটে নিয়োগ করা হল। ‘অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি’ বা ওএসডি পদে বৃহস্পতিবার নিয়োগ করা হল মির্জাকে। এটি একটি পুলিস সুপার পদমর্যাদার।
নারদ মামলায় নাম জড়িয়ে যায় মির্জার। সেই সময় বর্ধমানের পুলিস সুপার ছিলেন তিনি। এই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় সাসপেন্ড করা হয় ওই পুলিসকর্তাকে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মির্জাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ৫০ দিনের বেশি জেল হেফাজতেও ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্তি পান। এর পর তাঁকে ‘কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে’ পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মির্জাকে ওএসডি পদে নিয়োগ করা হল।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে প্রকাশ্যে আসে নারদা-কাণ্ড। নারদ-কাণ্ডে যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল, সেখানে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছে থেকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল বহু তৃণমূল নেতাকে। টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল মির্জাকেও।
এরপরই সাসপেণ্ড করা হয় তাঁকে। ২০১৯ সালের মির্জাকে গ্রেফতারও করে সিবিআই। প্রায় দু’মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। এর পর তাঁকে ‘কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে’ পাঠানো হয়েছিল। অবশেষে তাঁকে ফের রাজ্য পুলিসে নিয়োগ করা হল।
২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের হাতে নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার হন মির্জা। প্রথম চার দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। মির্জা দাবি করেন, তিনি মুকুলকে টাকা দিয়েছেন। মুকুল সেই দাবি অস্বীকার করেন।
নারদ স্টিং অপারেশন ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই স্টিং অপারেশনের ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যেখানে দেখা যায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে। এই স্টিং অপারেশন ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি।
ক্যামেরায় যাঁদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা হলেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, পুলিস আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জা।