NCP-তে ভাঙনের প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতেও! পিছিয়ে গেল মহাজোটের বৈঠক, এলোমেলো বিরোধীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : টালমাটাল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) রাজনীতি। এনসিপির (Nationalist Congress Party) ভাঙনে বিরোধী জোটে বড় সড় ধাক্কা লেগেছে। আর সেই ধাক্কায় বেসামাল জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটে। লোকসভা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস (Congress), উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি মিলে বিজেপিকে ধাক্কা দিতে পারে বলে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন। বিজেপির (Bharatiya Janata Party) মধ্যেও তা নিয়ে চিন্তা দেখা দিয়েছিল।

এরই মধ্যে রবিবার এনসিপি নেতা তথা শরদ পাওয়ারের ভাইপো মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিণ্ডে সরকারে সামিল হন। সকলকে অবাক করে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন তিনি। এর পরই জানা যায়, জাতীয় স্তরে বিরোধী জোটের বৈঠক ফের পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ জুন পাটনায় সর্বভারতীয় স্তরে প্রায় সমস্ত বিরোধী দল বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকের প্রধান আয়োজক নীতিশ কুমার হলেও এর পিছনে মূলত কাজ করছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়পর মাথা। পাটনা বৈঠক শেষে নীতিশ জানান, এর পরের বৈঠক হবে হিমাচল প্রদেশের সিমলায়। কংগ্রেস হবে বৈঠকের আয়োজক দল।

opposition 2

কিন্তু কদিন আগে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার জানান, পরবর্তী বৈঠক সিমলায় হবে না। তা হবে বেঙ্গালুরুতে ১৩ থেকে ১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে ওই বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে জোটের যাবতীয় খুঁটিনাটি স্থির হবে।

রবিবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সোমবার নীতিশের সংযুক্ত জনতা দলের মুখপাত্র ও নেতা কেসি ত্যাগী জানান, সংসদের অধিবেশন শুরু হবে ২০ জুলাই থেকে। তা ছাড়া কর্নাটক ও বিহারে বিধানসভার বাদল অধিবেশনও ওই সময়ে চলবে। তাই বিরোধী জোটের বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হলে জোটের বৈঠক হবে।

প্রশ্ন হল, কবে হবে ওই বৈঠক? কেসি ত্যাগী বলেন, তা এখনও স্থির হয়নি।

এরইমধ্যে খবর, সিমলার পরিবর্তে বেঙ্গালুরুতে বৈঠক সরানোর ব্যাপারে শরদ পওয়ারের ঘোষণায় অসন্তুষ্ট ছিলেন অনেকেই। এক আঞ্চলিক দলের নেতা পাওয়ার এই ঘোষণা করার কে? কংগ্রেস আয়োজক দল, নীতিশ কুমার জোটের আহ্বায়ক। এর মধ্যে থেকে পাওয়ার এক তরফা ভাবে যে ঘোষণা করছেন তা ঠিক নয়।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর