বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের চাকরির নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Scam)। চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ এবার অভিযুক্ত খোদ হাইকোর্টের গ্রুপ ডি কর্মীই। এই অভিযোগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশে এজলাস থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
কী অভিযোগ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে?
জানা গেছে, হাইকোর্টে চাকরি দেওয়ার নাম করে এক প্রার্থীর থেকে মোট দেড় লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন স্বপন জানা নামে এক গ্রুপ ডি কর্মী। অভিযোগ, সেই টাকার মধ্যে ৭০ হাজার টাকা অনলাইনে নিয়েছিলেন স্বপন। ২০০৯ সালের পরীক্ষা দেওয়া দৃষ্টিহীন প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
যে ব্যক্তির থেকে টাকা নিয়েছিলেন স্বপন তিনি থাকেন বেহালায়। ওই চাকরি প্রার্থী টাকা দেওয়ার দীর্ঘদিন পরও কোনও কিছু না হওয়ায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন গ্রেফতার হলেন স্বপন জানা।
অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় হাইকোর্ট চত্বরে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিক নির্দেশ দেন অবিলম্বে যেন স্বপন জানাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
নির্দেশ মতোই মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত গ্রুপ ডি কর্মী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আসেন। সেই অভিযোগ শোনার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্বপন জানাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করতেও বলেন বিচারপতি। পাশাপাশি হাইকোর্টের ডেপুটি সেরিফকে নির্দেশ দেন স্বপন জানার চাকরি সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টিতে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। শুধু তাই নয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গেছে অনেক ‘অযোগ্য’ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। আবার অনেকে চাকরিও পেয়েছেন।