পেছনে দাঁড়িয়ে বাস! রাস্তা আটকে আশুতোষের TMCP পড়ুয়াদের ফটো সেশন, ছবি ঘিরে বিতর্ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আশুতোষ কলেজের (Asutosh College) সামনে রাস্তা আটকে মনের আনন্দে চলছে TMCP পড়ুয়াদের ফটো সেশন (Photoshoot)। আর তার জেরে পিছনে রাস্তায় আটকে পড়েছে পাবলিক বাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ইতিমধ্যেই ভাইরাল সেই ছবি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রায় পঞ্চাশ জন কলেজপড়ুয়াদের একটি বিশাল দল রাস্তা আটকে নিচ্ছে গ্রুফি। আর সেই ছবি নিয়েই জোর বিতর্ক নেট মাধ্যমে।

যতদূর জানা গিয়েছে, সোমবার আশুতোষ কলেজের একাধিক পড়ুয়া নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে এই ছবিটি আপলোড করেছেন। সম্প্রতি তোলা কোনও ছবি হতে পারে। কলেজের পড়ুয়াদের সূত্রেই খবর, ছবিতে থাকা ছাত্রছাত্রীদের অধিকাংশই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। ঠিক কোন যুক্তিতে ব্যস্ত রাস্তা আটকে কলেজ পড়ুয়াদের এই ফটো সেশন, সেই নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন।

আশুতোষ কলেজ হল দক্ষিণ কলকাতার যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনের ২ নম্বর ফটকের একেবারে লাগোয়া অবস্থিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত একটি কলেজ। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম প্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে একটিও বটে। হাজরার চৌমাথা মোড়ের ব্যস্ত রাস্তার পাশে ৯২, নম্বর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোডের উপর অবস্থিত এই কলেজের প্রাক্তনীদের তালিকায় মহাশ্বেতা দেবী, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, রবি ঘোষ থেকে শুরু করে একাধিক রত্নের নাম।

কলেজের অদূরেই ভবানীপুর থানা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে হাঁটা দূরত্বে। নগরীর ব্যস্ততম জায়গা গুলির মধ্যে একটি স্থান, আর সেই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা আটকে কলেজপড়ুয়াদের কায়দা করে ফটো তোলাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনরা।

এই বিষয়ে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে এক সংবাদ মাধ্যম যোগাযোগ করলে নেতা ‘এগুলো ছোটখাটো একটা বিষয়’ বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। এদিকে তৃণাঙ্কুরের কথা মত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আরেক নেতা সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এমন কিছু হয়েছে বা রাস্তা আটকে দিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। হয়তো এক সেকেন্ডের জন্য একটা শট তোলা হয়েছে। হয়তো দেখে মনে হচ্ছে রাস্তা আটকানো হয়েছে। তাও খোঁজ নিচ্ছি। রাস্তা ব্লক করার প্রশ্নই উঠছে না। আমি ছবিটা দেখিনি।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর