বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) নিয়ে জুড়ে হাজারো কাণ্ড। গতকাল মঙ্গলবার, ছিল ভোট গণনা। আর সেদিনই নির্বাচনে জিতে গণনাকেন্দ্রের মধ্যেই দলবদল করে মুহূর্তে লাইমলাইটে চলে আসে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কালনা-১ ব্লকের কাঁকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৯ নম্বর আসন থেকে ভোটে দাঁড়ানো সিপিএম প্রার্থী (CPM Candidate) গীতা হাঁসদা৷
ফলাফল বেরোলে দেখা যায় শাসকদলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। কিন্তু ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন গীতা। এই পর্যন্ত সবটা আয়ত্তে থাকলেও এর পরই বাম দলের পক্ষে অভিযোগ করা হয়, সিপিএম প্রার্থীর সন্তানকে অপহরণ করে দলে যোগ দিতে বাধ্য করিয়েছে শাসকদল। তারপরই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।
এই দাবি ও ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গতকাল রাতে ওই প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যায় এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম। তারপরেই সামনে আসে আসল কাহিনী। দেখা যায় পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) জিতে বাড়ি ফিরে রাতের রান্নায় তুমুল ব্যস্ত গীতাদেবী। আর তখনই দেখা যায় তার সাত বছরের ছেলে ও আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছে ঘরেই। গীতা বলেন, ‘স্বেচ্ছায় দলবদল করেছি। কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি।’
প্রসঙ্গত গতকাল তৃণমূলে যোগদান দিয়েই গীতা হাঁসদা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, ‘আমি তৃণমূলই করতাম৷ একটা কারণে সিপিএমে গিয়েছিলাম৷ তবে সেই কারণটা বলা যাবে না৷ সিপিএম মাত্র একটা আসনে জিতেছে৷ একটা আসন নিয়ে তো পঞ্চায়েতে কিছু করা যাবে না৷ তাই তৃণমূলে ফিরে এলাম৷’
এই বিষয়ে কালনার তৃণমূল নেতা চঞ্চল সিংহ রায় বলেন, ‘উনি (গীতা হাঁসদা) তৃণমূলই করতেন। আমাদের দলের সঙ্গে কিছু সমস্যা হওয়ার জন্য উনি সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন, তাই উনি জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’ মোটের ওপর অপহরণের অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যে তা আর বুঝতে বাকি নেই।