বাংলা হান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুলে টিপ পরে যাওয়ার কারণে ছাত্রীকে মারধর করেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি সোমবার ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদের তেঁতুলমাড়ি এলাকায় ঘটে।
গতকাল, মঙ্গলবার ওই স্কুলশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিস। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শিক্ষকের হাতে মার খাওয়ার পর আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই ছাত্রী। মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রীর বাবা-মা। শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেন পুলিস কড়া পদক্ষেপ করেন তা নিয়েও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।
শিশু অধিকার সংরক্ষণের জাতীয় কমিশনের মুখ্য আধিকারিক প্রিয়ঙ্ক কানুনগো মঙ্গলবার টুইট করে এই ঘটনার উল্লেখ করে শোকপ্রকাশ করেছেন। কমিশনের তরফে বিশেষ দল প্রস্তুত করে ধানবাদের স্কুলে তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শিশু কল্যাণ কমিটির মুখপাত্র উত্তম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। প্রিয়ঙ্কের টুইটের জবাবে উত্তম লেখেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে এসেছি। এমনকি জেলার আধিকারিককেও খবর দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই একই ধরনের ঘটনা ঘটে দিল্লি। পড়াশোনা করতে চান না তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মঘাতী হয় এক তরুণী। দিল্লির (Delhi) দ্বারকায় অবস্থিত জিজিএস ইন্দ্রপ্রস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ১৪ বছরের পড়ুয়া। লিখে রেখে যায় সুইসাইড নোট।
ছাত্রীর আত্মহত্যা প্রসঙ্গে দ্বারকার ডেপুটি কমিশনার জানান, সোমবার সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁদের কাছে ফোন আসে জিজিএস বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে এক পড়ুয়া ঝাঁপ দিয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌছায় উত্তর দ্বারকা থানার পুলিশ। সেখানে গিয়ে দেখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ের নীচে পরে রয়েছে ওই ছাত্রী। নবম শ্রেণীর ওই পড়ুয়ার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। যেখানে সে লিখে গিয়েছে, পড়াশোনা করতে ভাল লাগত না তাঁর। সারাক্ষণ মাথায় মধ্যে আত্মহত্যা করার ভাবনা ঘুরত।