বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) বহুদিন জেলবন্দি কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকন্যা। সূত্রের খবর, জেলের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জেল হাসপাতালে।
আপাতত জেল সূত্রে অনুব্রত কন্যার শরীরের আর কোনও পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে এই প্রতিবেদনে তা যোগ করা হবে। তবে জানা গিয়েছে আজই অবশেষে প্রিয় বান্ধবী সুতপার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সুকন্যার। দিল্লিতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সুকন্যাকে হাজিরার জন্য আনা হয়েছিল। সেখানেই তাদের দীর্ঘক্ষণ কথা হয়।
অন্যদিকে গতকালই নয়া মোড় নিয়েছে গরু পাচার মামলা। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED-র দাবি করেছে, কেষ্ট নয়, গরু পাচারের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তার মেয়ে সুকন্যা। পাচারের টাকা কোথায় কী ভাবে বিনিয়োগ করা হবে, সেই নিয়ে বাবাকে পরামর্শ দিতেন সুকন্যাই।
সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমারের পক্ষ থেকে আদালতে ফের একবার জামিনের আর্জি জানানো হয়। তিনি বলেন তার মক্কেল সুকন্যা নিজের আইনি লড়াইয়ে প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করতে চান। এই পরিস্থিতিতে ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হোক অনুব্রত কন্যাকে।
গত সোমবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে দায়ের করা লিখিত আবেদনে সুকন্যা জানিয়েছেন, ইডি তার যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় তিনি কার্যত ‘কপর্দকশূন্য’, এমনকি নিজের আইনজীবীদের ‘ফি’ জোগাতেও তিনি অক্ষম। ভবিষ্যতে মামলা চালানোর জন্য বা কোনও নামী আইনজীবীকে নিয়োগ করার জন্যও তার হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই অবিলম্বে তার জামিনের ব্যবস্থা করা হোক।
অন্যদিকে, সুকন্যার জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি। কেষ্ট কন্যার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করেন ইডির আইনজীবী। অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারির (বর্তমানে তিহাড় বন্দি) বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডল কোথায় কী ভাবে কোথায় বিনিয়োগ করবেন তার সবটা ঠিক করে দিতেন মেয়ে সুকন্যা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার যখন সুকন্যার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল তখন সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ সিবিআই বিচারক রঘুবীর সিং নোটিস দিয়ে ইডির জবাব তলব করেছিলেন। সেই জবাবেই ED-র আইনজীবীর পক্ষ থেকে অনুব্রত কন্যা সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করা হয়। আজ ১২ জুলাই সুকন্যার জামিন মামলার শুনানি ছিল।