বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যার (Population) হার। সমগ্র দেশ তথা বিশ্বজুড়েই জনসংখ্যার এহেন বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে, গত ১১ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার ছিল একটি বিশেষ দিন। মূলত, ওই দিনটিকে প্রতিবছরই “বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস” (World Population Day) হিসেবে পালন করা হয়। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাশাপাশি, ২০২৩ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের থিম ছিল “Unleashing the power of gender equality: Uplifting the voices of women and girls to unlock our world’s infinite possibilities”।
অর্থাৎ, জাতিসঙ্ঘ এবার এই দিনটির থিম হিসেবে লিঙ্গ সমতা অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক তথা মহিলাদের এগিয়ে যাওয়া এবং তাঁদের ক্ষমতায়নের সম্পূর্ণ ব্যবস্থার বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়েছে। পাশাপাশি, কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানও এবার সামনে এসেছে। যেগুলি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন প্রত্যেকেই।
মূলত, প্রতি মুহূর্তে বিশ্বের জনসংখ্যা গণনাকারী WorldOMeter এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের ১১ জুলাই জানিয়েছিল যে, তখন বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ৭৯৫ কোটি। তবে, চলতি বছর WorldOMeter-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এখন আমাদের বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০৪ কোটিতে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এক বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে নয় কোটি।
এমতাবস্থায়, আপনি কি জানেন পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে কত শিশুর জন্ম হচ্ছে? অনেকের কাছেই এই উত্তরটি অজানা। যদিও, এই উত্তরটি জানলে চমকে উঠবেন সকলে। মূলত, WorldOMeter মারফত জানা গিয়েছে, বিশ্বে প্রতি মিনিটে ২৪৬ জন নবজাতক জন্মগ্রহণ করে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা। পাশাপাশি, মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির কারণে বিশ্বজুড়ে জন্মের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের জনসংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছতে ১৮০০ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু, ঠিক তারপর থেকেই জনসংখ্যা দ্রুত হারে বাড়তে থাকে।
এদিকে, আমরা যদি ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যার বিষয়টি দেখি সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে, বিশ্বে সবথেকে বেশি জনসংখ্যা হল খ্রিস্টানদের। তারপরেই এই তালিকায় রয়েছে মুসলিমরা। অর্থাৎ, তারা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ হল খ্রিস্টান। পাশাপাশি, মুসলিম হল ২৩ শতাংশ।