বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Recruitment Scam)। গ্রাম বাংলার ভোটে বিপুল জয় পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। বর্তমানে জোর কদমে চলছে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি। গত বছর ২১ জুলাই আর এবছর ২১ জুলাই, এই একটা বছরে ঘটে গিয়েছে হাজারো কাণ্ড। গত বছর এই সমাবেশের পরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের ‘মহাসচিব’ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর রাতারাতি দলের সমস্ত পদ থেকে মুছে দেওয়া হয় তার নাম। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিল্পমন্ত্রী-পরিষদীয়মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দলের সমস্ত পদ থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করা হয়েছে।
তারপর পেরিয়ে গিয়েছে বহুদিন। এখনও দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি পার্থ। আর এরই মধ্যে এবছর ২১ জুলাইয়ের আগে বড় পদক্ষেপ নিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ‘মহাসচিব’ পদ (Mahasachib Post)। পাশাপাশি বিধানসভায় পার্থবাবুর ঘরেও পড়ল তালা। দলে আর রইল না ‘মহাসচিব’ পদ।
দল সূত্রে খবর, ওই পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি তেমনটা নয় তবে ওই পদে থাকা ব্যক্তিই দলকে সর্বাধিক কলঙ্কিত করেছে, তাই সেই পদটি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত প্রায় বছর ধরে এই পদ খালিই পড়ে ছিল। বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে ঘরে বসতেন সেটাকেও তালা দেওয়া। এবার মহাসচিবের ঘরেও পড়ল তালা।
সম্প্রতি পার্থকে নিয়ে দলেরই দুই নেতা মন্তব্য করেন। তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘আমরা দুঃখিত যে ওর মতো লোক আমাদের দলে ছিল। এখন আর ওকে মিস করি না।’ অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘২০২২ সালের ২১ জুলাই একই মঞ্চে কত কথা হয়েছে পার্থর সঙ্গে। তারপর ওর নামে যা যা অভিযোগ উঠেছে, এরকম পার্থকে আমরা চিনি না।’