বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার আরো একটি ব্যাঙ্কের (Bank) লাইসেন্স বাতিল করেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। জানা গেল ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯-এর ৫৬ ধারা মেনে না চলার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাদের এই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে সমস্যায় পড়ার আগে তারা অবশ্যই প্রতিবেদনটি পড়ে নিন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সদ্যই ইউনাইটেড ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের (united india co operative bank ltd) লাইসেন্স বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে যে, ইউনাইটেড ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডকে ‘ব্যাঙ্কিং’ ব্যবসা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
আরবিআই জানিয়েছে যে সমবায় ব্যাঙ্কটির কাছে পর্যাপ্ত মূলধন এবং উপার্জনের সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, এটি ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯-এর ধারা ৫৬-এর সাথে ধারা ১১(১) এবং ধারা ২২(৩)(d) এর বিধানগুলি মেনে চলে না৷ ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রক আরও বলেছেন, ব্যাঙ্কটি ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৯ এর কিছু ধারা মেনে চলতেও ব্যর্থ।
পাশাপাশি, আরবিআই উত্তরপ্রদেশের সমবায় সমিতির কমিশনার এবং রেজিস্ট্রারকে ব্যাঙ্ক বন্ধ করার আদেশ জারি করতে এবং ব্যাঙ্কের জন্য একজন লিকুইডেটর নিয়োগ করতে বলেছে।
গ্রাহকদের কী হবে : এমতাবস্থায় বড় প্রশ্ন, আমানতকারীদের কী হবে? RBI-এর প্রেস রিলিজ অনুসারে প্রত্যেক আমানতকারী ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (DICGC) DICGC আইন, ১৯৬১-এর বিধান অনুযায়ী ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমার ক্ষেত্রে সমপরিমাণ বীমা পাওয়ার অধিকারী হবেন। ব্যাঙ্কের জমা দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৯৯.৯৮% আমানতকারী DICGC থেকে তাদের আমানতের সম্পূর্ণ পরিমাণ পাওয়ার অধিকারী।
কেন ব্যবসার অনুমতি দেওয়া যাবে না : রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে যে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ককে তার ব্যাঙ্কিং ব্যবসা চালানোর অনুমতি দেওয়া হলে জনস্বার্থের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে কারণ ব্যাঙ্কটির বর্তমান আর্থিক অবস্থা ভিষণ খারাপ। ব্যাঙ্কটি ভবিষ্যতে আমানতকারীদের সম্পূর্ণ অর্থ দিতে অক্ষম হবে।