বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) কিছুটা স্বস্তিতে বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সম্প্রতি নতুন করে অনুব্রতর নামে আরও কিছু বেনামী সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই সূত্র ধরে নেতাকে নতুন করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)।
এদিন পিএমএলএ আইনের ৫০ নম্বর ধারার উল্লেখ করে নতুন করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে হেফাজতে নিতে চায় ইডি। তবে এর বিরোধীতা করে সওয়াল করেন কেষ্টর আইনজীবি সম্পৃক্তা ঘোষাল। ইডির দাবির তীব্র বিরোধিতা করে তিনি বলেন, উক্ত আইনে কেবল তাদেরই হেফাজতে নেওয়া যায়, যারা পুলিশ বা বিচারবিভাগীয় – কোনও হেফাজতেই নেই। তবে তার মক্কেল অনুব্রত জেল হেফাজতেই রয়েছেন, তাই এই ধারার প্রয়োগ হতে পারে না।
সবদিক বিচার করে বিচারক রঘুবীর সিং খারিজ করে দেন বিচারপতি। অন্যদিকে ফের অনুব্রতর বয়ান রেকর্ড করতে পারবে না ইডি, জানিয়ে দিল আদালত। তদন্তকারী সংস্থার আবেদন খারিজ করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশ, PMLA ৫০-র অধীনে জেলবন্দি অনুব্রতর বয়ান রেকর্ড করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। পরে তাকে হেফাজতে নেয় ইডি। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত, কলকাতা হাই কোর্ট, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালত ও দিল্লি হাই কোর্টে বারংবার জামিনের আবেদন করেছেন কেষ্ট। তবে সুরাহা হয়নি।
অনুব্রতর গ্রেফতারির ৮ মাস পর গত এপ্রিলে মেয়ে সুকন্যাকেও গ্রেফতার করে ইডি। বর্তমানে তিনিও তিহাড়ে। অন্যদিকে সম্প্রতি শোনা গিয়েছে বাবা-মেয়ের তুমুল মতবিরোধের জেরে সুকন্যার মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তার আইনজীবী। ফলে জোর বিপাকে পড়েছে কেষ্ট-সুকন্যা উভয়েই।
অন্যদিকে, এই প্রথমবার কেষ্ট বিনা পালিত হচ্ছে তৃণমূলের শহীদ দিবস। কেষ্ট জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই বাংলায় মিটে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার দলের শহিদ দিবস। সেখানেও অনুপস্থিত বীরভূমের এই দাপুটে নেতা।