মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি চেয়ে সংসদে ধরনা ‘ইন্ডিয়া’র! সম্মুখে অভিষেক সহ তৃণমূল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাইভোল্টেজ সোমের সকাল। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন সকাল ১০টা নাগাদ সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় (Dharna) সামিল INDIA জোট। মণিপুর ইস্যুতে (Manipur issue) হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান স্লোগান তুললেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সহ তৃণমূল সাংসদরা (TMC MP)।

সংসদের অধিবেশনে যে মণিপুর ইস্যু নিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াবে বিরোধী জোট, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। এবার মণিপুর (Manipur) উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে সামনে রেখে সংসদের দুই কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি ‘ইন্ডিয়া’র। অর্থাৎ লোকসভা ও রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে বিবৃতি দিতে, এই দাবিতেই সরব বিরোধীরা।

abhishek india

প্রসঙ্গত, এবারে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বিরোধী দলের সাংসদদের এই ধরনা কর্মসূচি আগে থেকেই স্থির ছিল। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের এই অবস্থান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। ওদিকে আগেভাগেই বিরোধীদের আটকাতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে পৌঁছে যায় বিজেপিও।

সকাল সকাল ধরনা দেয় বিজেপি। সেখানে দেখা যায়, সুকান্ত মজুমদার, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, খগেন মুর্মুরাদের। তবে তাদের ধরনার মূল ইস্যু ছিল, মূলত মালদহে আদিবাসী দুই মহিলার উপর পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা। তবে সেখানে গুটি কয়েক সাংসদ ছাড়া বাকি সকলেই অনুপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ধরনার শুরুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তিনি বলেন, ”মণিপুরের ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে রাজস্থান, বাংলার প্রসঙ্গ তুলে আনছেন নেতা, মন্ত্রীরা। তবে কোনও লাভ হবেনা। বাংলায় তো কখনও ইন্টারনেট বন্ধ হয়নি। মণিপুরে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কারণ কী? কী ঘটছে, সকলেই তা বুঝতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি রাখতে অক্ষম। বলেছিল ২০২২-এর মধ্যে দেশের সবার মাথার উপর ছাদ থাকবে। কিন্তু এখনও কত মানুষ ছাদহীন। আর এদিকে কত টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। লজ্জায় মাথায় হেঁট হয়ে যায়।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর