বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অপেক্ষা আর মাত্র দু মাসের। তারপর এই ভারতের মাটিতে আরম্ভ হবে ওডিআই বিশ্বকাপের (2023 ODI World Cup) খেতাব দখলের লড়াই। ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে এই হাইভোল্টেজ ইভেন্টটি আয়োজিত হতে চলেছে। সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভারতের স্টেডিয়ামগুলিতে নিজের প্রিয় দেশ এবং ক্রিকেটারদের ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখার জন্য। তার আগে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে অত্যাচার চারটি ম্যাচ কোনগুলো হতে চলেছে তা প্রকাশ করেছে আইসিসি (ICC)। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ হওয়ার পর আইসিসি একটি প্রশ্ন করে বলেছিল যে কোন চারটি ম্যাচ দেখার জন্য সকলে উদগ্রীব হয়ে আছেন? সেই পোষ্টের কমেন্ট বক্স থেকে বেশিরভাগ কমেন্টে যে চারটি ম্যাচের কথা উঠে এসেছে সেগুলি তুলে ধরা হলো।
নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ড: গত বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই গড়িয়েছিল সুপার ওভার অবধি। শেষ পর্যন্ত আজব নিয়মের কারণে জয় পেয়েছিল আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। ক্রিকেটপ্রেমীরা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে সেদিন অনৈতিকভাবে জয় পেয়েছিল ব্রিটিশরা। তাই আসন্ন বিশ্বকাপের ওপেনিং ম্যাচে যখন এই দুই দল ফের একবার মুখোমুখি হবে তখন সকলে নজর থাকবে সেই ম্যাচের দিকে।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: চেন্নাইয়ে ৮ই অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপে নিজেদের অভিযান আরম্ভ করবে ভারত। শেষবার এই মাঠে যখন দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল তখন দাপট দেখিয়ে ভারতকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু চেন্নাইয়ের পিচ স্পিনারদের বাড়তি সাহায্য করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার হাতেও ভালো স্পিনার রয়েছে। ফলে হাড্ডাহাড্ডি একটা লড়াই যে হবে তুই দেশের মধ্যে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত: সাম্প্রতিক অতীতে এই দলটির বিরুদ্ধে ভারতের রেকর্ড আইসিসি টুর্নামেন্ট গুলিতে একেবারেই ভালো নয়। ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব এবং ওই একই বছরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হার স্বীকার করতে হয়েছে কেউয়িদের বিরুদ্ধে। তবে এবার ভারতীয় দল যখন ব্ল্যাক ক্যাপসের মুখোমুখি হবে তখন ঘরের মাটিতে ফেভারিট হিসেবে তারাই এগিয়ে থাকবে।
ভারত বনাম পাকিস্তান: ১৫ই অক্টোবর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ একে অপরের মুখোমুখি হবে। কিন্তু দুই মাস আগে থেকেই সেই ম্যাচের উত্তাপ বাড়াতে শুরু করেছে দুই দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা। ভারত থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পাকিস্তানকে কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য করেননি। অপরদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ওই নির্দিষ্ট ম্যাচে বাবর আজমকে শতরান করার পাশাপাশি বিরাট কোহলিকে দ্রুত আউট করার ফরমান জারি হয়েছে। ফলে ওই ম্যাচটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ হতে চলেছে তা আগে থেকে বলার অপেক্ষা রাখে না।