বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল ট্রেন (Train)। নিত্যদিনের সফর থেকে শুরু করে দূরের কোনো গন্তব্য, প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেলপথের (Indian Railways) ওপর ভরসা করেন সবাই। এমনকি, অন্যান্য গণপরিবহণের তুলনায় ট্রেনে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খরচের পরিমানও হয় অনেকটাই কম। এদিকে, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফেও বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এমতাবস্থায়, অনেক সময় ট্রেনে সফরকালে কোনো গুরুতর কারণবশত বগিতে থাকা চেনটি টানতে (Train Chain Pulling) বাধ্য হন যাত্রীরা। ট্রেনের প্ৰতিটি বগিতে এই চেন থাকে। চেন টানা হলে বিষয়টি তৎক্ষণাৎ জেনে যায় রেল। তবে, এর পেছনে রয়েছে অবাক করা এক কৌশল। আর সেটির ওপর ভর করেই এতবড় ট্রেনের কোন বগি থেকে চেন টানা হয়েছে সেটি তৎক্ষণাৎ বুঝে যায় রেল। পাশাপাশি, এর ফলে ট্রেন দাঁড়িয়েও যায়।
বর্তমান প্ৰতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত উপস্থাপিত করা হল। মূলত, চেন টানার সাথে কিছু বিষয় জড়িত থাকে। আর সেগুলি থেকেই বোঝা যায় কোন বগি থেকে সেটি টানা হয়েছে। যখন কোনো বগিতে চেন টানা হয়, তখন সেখানে থাকা একটি ভাল্ব ঘুরতে শুরু করে। যেটি নির্দেশ করে চেন টানার বিষয়টিকে।
এছাড়াও, যে বগি থেকে চেন টানা হয় সেটি থেকে এয়ার প্রেশার নির্গত হওয়ার শব্দ পাওয়া যায়। এটিও চেন টানার ফলেই ঘটে। যার মারফত সংশ্লিষ্ট বগিটিকে সহজেই শনাক্ত করা যায়। পাশাপাশি, কে এবং কেন চেনটি টেনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়েছেন সেটিও স্পষ্ট হয়ে যায়।
মূলত, বিপদে পড়লে চেন টেনে ট্রেন থামানোর জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হলেও অনেকেই আবার এটিকে ভুল ভাবেও ব্যবহার করেন। কেউ কেউ কোনো কারণ ছাড়াই নিছক মজার ছলেই চেনটি টেনে দেন। যার ফলে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। এর ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হন ট্রেনে থাকা অন্যান্য যাত্রী থেকে শুরু করে ট্রেনের চালকও। এমন পরিস্থিতিতে এই ঘটনাকে মাথায় রেখেই এখন কোনো বৈধ কারণ ছাড়া চেন টানার ক্ষেত্রে শাস্তি ও জরিমানার মতো বিষয় রাখা রয়েছে।