বাংলাহান্ট ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) কাণ্ডের প্রতিবাদে এ রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিল যুব তৃণমূল (Trinamool Congress)। আগামী তিন দিন ধরে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। মণিপুরে ঘটছে যাওয়া নারকীয় কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা পথে নামতে চলেছেন। আর কলকাতায় এই প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্বে থাকছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)।
আগামী ২৭, ২৮ এবং ৪০ জুলাই তিন দিন ধরে হবে প্রতিবাদ মিছিল। ব্লক এবং জেলা স্তরের নেতাকর্মীরা পা মেলাবেন মিছিলে। আর ৩০ জুলাই মোমবাতি মিছিল হবে কলকাতার রাজপথে, যে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন সায়নী। তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করে এমনটাই জানানো হয়েছে।
একাধারে মণিপুর কাণ্ডের প্রতিবাদ তথা বিজেপি সরকারের বিরোধিতা, এই মিছিলের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনায় রয়েছে তৃণমূল। মণিপুরে বিগত তিন মাস ধরে যে অশান্তি চলছে, মহিলাদের উপরে যে অত্যাচার করা হচ্ছে তা দমন করতে ব্যর্থ সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। মণিপুরে ত্র ব্যর্থতাকেই কটাক্ষ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে গোটা ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতাকেও নিশানা করা হয়েছে।
গত বুধবারেও মহিলা তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। গড়িয়াহাট থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ মালা রায়, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
বিগত তিন মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া, মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মণিপুর বাসীর। কিছুদিন আগে আরেকটি ঘটনায় বারুদের স্তুপে যেন আগুন পড়ে। মণিপুরে দুই মহিলাকে গণধর্ষণের পর বিবস্ত্র করে জনসমক্ষে হাঁটানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে।
এদিকে বাংলায় অব্যাহত শাসক বিরোধী তরজা। মণিপুর কাণ্ডের পালটা হিসেবে মালদহের বামনগোলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহের ঘটনা তুলে ধরে প্রতিবাদে সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি। বুধবার শ্যামবাজারে বিজেপি মহিলা মোর্চার নেতৃত্বে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।