বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) নিয়ে শাসক বিরোধী তরজার পর এবার দুভাগে বিভক্ত বিশিষ্ট মহল। অপর্ণা সেন (Aparna Sen), বোলান গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বুদ্ধিজীবীরা পঞ্চায়েত হিংসার জন্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন। পালটা সুর চড়িয়ে তাঁদের একহাত নিলেন কবীর সুমন (Kabir Suman), আবুল বাশারের মতো তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বুদ্ধিজীবীরা। ভোটে তো গণ্ডগোল হবেই, জোর গলায় মন্তব্য শাসক ঘেঁষা বিশিষ্টদের।
এবারে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটের সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা। প্রকাশ্য দিনের আলোয় চলেছে দুষ্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন, বোমাবাজি। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার সময় থেকে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। রাজ্যের এহেন পরিস্থিতির জন্য দায় এড়াতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনি দাবি করে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন অপর্ণা সেনরা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে পালটা সুর চড়ালেন কবীর সুমন, যোগেন চৌধুরীরা। ভোটে গোলমাল হবেই। ভোট হয়ে যায় না, ভোট করাতে হয়। নল দিয়ে ভোট হয়, এই কথাগুলোই শোনা গেল বিশিষ্টদের মুখে। তৃণমূল সরকারকে সম্পূর্ণ ক্লিনচিট দিলেন কবীর সুমন।
সঙ্গীতশিল্পী এদিন বলেন, ‘তৃণমূল কর্মীরাই সবথেকে বেশি মারা গিয়েছে। সাদা থানের কথা ভুলি কীকরে?’ অপর্ণা সেন হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, এই পরিবর্তন তিনি চাননি। এদিন সুমনের গলায় শোনা গেল কটাক্ষের সুর, ‘এই পরিবর্তন চাননি, তবে কি চেয়েছিলেন? আমি চাই ৩ হাজার বছর মমতা ক্ষমতায় থাকুক’।
বর্তমান সরকারের প্রতি স্পষ্টতই হতাশা উগরে দিয়েছিলেন অপর্ণা। তিনি পালটা প্রশ্ন করেছিলেন, পরিবর্তনের জন্য কাকে আনবেন? বাংলায় গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই। এমন অবস্থা চললে কিছুদিন পর বাক স্বাধীনতার অধিকারও চলে যাবে। তাঁর সরাসরি দাবি, তৃণমূল সহ কোনো রাজনৈতিক দলই এমন নেই যারা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। যারা নন তারা আসনই পান না বলে মত অপর্ণা সেনের।