বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাগেশ্বর ধাম (Bageshwar Dham Sarkar) পীঠধীশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী (Dhirendra Krishna Shastri) বর্তমানে যুক্তরাজ্যে (United Kingdom) রয়েছেন। লন্ডনের (London) লেস্টারে রমরমিয়ে চলছে তার রামকথা। স্থানীয় হিন্দু ছাড়াও একাধিক ব্রিটিশ কর্মকর্তাও গল্প শুনতে আসছেন। ২৭ জুলাই, ২০২৩-এ, ব্রিটেনের রাজা চার্লসের প্রতিনিধি সাইমনও মিম্বর থেকে আশীর্বাদ পেতে উপস্থিত হন। ইতিমধ্যেই, রামকথার একটি ভিডিও মারাত্মক ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি ২৫ জুলাই বাগেশ্বর ধামের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল।
এই ভিডিওতে একজন ব্রিটিশ আধিকারিককে রামনামী দোপাট্টা পরে রামকথায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে। তার সামনে এক প্রশ্নের জবাবে পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী কোহিনূর ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। আরও বলা হয়, একসময় ব্রিটিশরা ভারতে এসে কথা বলতেন এবং আমাদের পূর্বপুরুষেরা শুনতেন। আজ লন্ডনে ব্রিটিশরা বসে রামের গল্প শুনছে।
প্রায় ৪মিনিট ১৩ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে, বাগেশ্বর ধাম পীঠধীশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে একটি বড় হলে একটি বিশাল সমাবেশে গল্পটি বর্ণনা করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আমরা কোহিনূর নিয়ে ফিরব। তিনি আরও বলেন, ‘যাই হোক, এখনই কোহিনূর ফেরত দিতে বলা যাবে না। এখনে অনেকবার আসতে হবে। মানুষ বলবে এতে আমরা নৈরাজ্য ছড়ায়। তবে অন্তরে যা আছে, তা আমরা স্পষ্ট কথায় বলি।
लंदन की कथा में गुरु जी ने कहा कोहिनूर लेकर आएंगे | बागेश्वर धाम सरकार#bageshwardhamsarkar #bageshwardham #london #shriramkatha #leicester pic.twitter.com/RBROAwkx7n
— Bageshwar Dham Sarkar (Official) (@bageshwardham) July 25, 2023
ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী এই রামকথায় উপস্থিত ম্যাথিউ নামে এক ইংরেজকে অপরাধ কমিশনার হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যুগে যুগে এমন পরিবর্তন হয়েছে যে একসময় ব্রিটিশরা ভারতে এসে বক্তৃতা দিত, কিন্তু আজ লন্ডনে বসে তাদের রামকথা শুনছে। এ সময় বাগেশ্বর বাবা পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী গল্পের মঞ্চ থেকে সমগ্র ইংল্যান্ডের মুক্তি কামনা করেন। ব্যাসপীঠ থেকে ব্রিটেনের রাজার আশীর্বাদ, অর্থনীতির মজবুত প্রার্থনা করেন।’
এর আগে, ভাগ্যেশ্বর ধাম মহারাজ ধীরেন্দ কৃষ্ণ শাস্ত্রী রায়পুরে রামকথা বলছিলেন। তাঁর সভায় অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে নানা রকমের প্রশ্নও উঠছিল। সেই প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কুসংস্কার ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে থেকে কিছু ঠিক করার দাবি করেননি। যা হয় সবই গুরুজীর কৃপায়। এসবের মধ্যেই নিজের ‘অলৌকিক’ ক্ষমতার সরাসরি প্রদর্শন করে উপস্থিত জনতাকে তাক লাগিয়ে দেন এই ধর্মগুরু।