বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদা (Malda) জেলার গাজলে তৈরি হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম ইথানল কারখানা। এই কারখানা তৈরি হবে প্রায় ৫২ একর জমির উপর। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পেট্রোলের গুরুত্ব কমানোর জন্য ইথানল ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এমন আবহেই ইথানলের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গে এল বড় বিনিয়োগ।
কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে আগামী দিনে পেট্রোলের (Petrol) সাথে ইথানল (Ethanol) মিশিয়ে বিক্রি করতে। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাস্তবায়িত হয়েছে এই পরিকল্পনা। সরকার চাইছে দ্রুত এই পরিকল্পনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাতেও বারবার উঠে এসেছে ইথানলের সাথে পেট্রোলের সংমিশ্রণের কথা।
এবার এমন আবহেই উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠতে চলেছে ইথানন কারখানা। ‘জেএসআর গ্রেন এনার্জি’ এই কারখানা গড়ে তুলবে। এই কারখানায় সরাসরি চাকরি পাবেন প্রায় ৫০০ জন। অন্যদিকে এই কারখানার ফলে উপকৃত হতে চলেছেন প্রায় দশ হাজার কৃষক। ইথানল কারখানা নির্মাণকারী সংস্থার ৫২ একর জমির মধ্যে রাজ্য সরকার ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে ২৮.১৫ একর জমি।
সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে ইথানল প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে আগামী আট মাসের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, ‘জেএসআর গ্রেন এনার্জি’ প্রতিদিন ২ লক্ষ লিটার ইথানল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এই কারখানা থেকে সরাসরি ইথানল কিনতে পারবে জ্বালানি সংস্থাগুলি। ৩০০ জন দক্ষ ও ২০০ জন অদক্ষ কর্মচারী নিয়োগ হবে এই কারখানার জন্য।
এই সংস্থার অন্যতম কর্ণধার রাজেন্দ্র জৈন বলেছেন, প্রতিদিন দু লাখ লিটার ইথানল প্রস্তুতির জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন হবে ৬০০ টন চাল। বার্ষিক হিসাবে প্রতি বছর প্রয়োজন হবে দু লক্ষ টন চাল। এর ফলে চাল কেনা হবে মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং দিনাজপুর অঞ্চলের কৃষকদের থেকে। এই কারখানার ফলে উপকৃত হবেন প্রায় দশ হাজার কৃষক।
এছাড়াও সংস্থা কাঁচামাল হিসাবে পূর্ব বর্ধমান থেকে কিনতে পারে ভাঙা চাল। কোভিড , আর্থিক অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো একাধিক বিষয়ের জন্য গত কয়েক বছরে বাড়াবাড়ি রকমের দাম বেড়েছে পেট্রোলের। সরকার চাইছে পেট্রোলের সাথে ইথানল মিশ্রণ করে সেই দামে লাগাম টানতে। ভবিষ্যতে সরকারের এই পরিকল্পনা কতটা সুদূরপ্রসারী হয় এখন সেটাই দেখার।