বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্তমান সময়ে বাইকের (Bike) বাজারে বেশ বড় হইচই পড়ে গিয়েছে। ভারতীয় বিভিন্ন বাইক কোম্পানি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেলসের নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশে বড় বড় রেকর্ড হাসিল করেছে ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানি (Indian Company)। অবশ্য এই কথা আজকের নয়, বিগত ২০২২ সালেই আফ্রিকা মহাদেশে বাইক বিক্রির পরিমান চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় বিভিন্ন বাইক নির্মাতা কোম্পানিগুলোকে।
বিগত বহুসময় ধরে আফ্রিকার বাজারে একরকম রাজ চালিয়েছে বিভিন্ন চিনা কোম্পানি (Chinese Company)। কিন্তু ভারতের দুই সংস্থা বাজাজ (Bajaj) এবং টিভিএসের (TVS) সামনে টিকতে পারেনি ১৬০টি চিনা কোম্পানি। আফ্রিকা থেকে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হয়েছে চিনা কোম্পানিগুলো। আসলে বাইক বিক্রি করলেও চাইনিজ কোম্পানিগুলোর আফটার সেলস সার্ভিস বলে কিছুই থাকেনি।
চাইনিজ বাইকগুলো পরিষেবা যেমন জঘন্য ছিল তেমনই খারাপ ছিল তাদের গুণমান। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আফ্রিকাতে বাজার দখল করেছে ভারতীয় কোম্পানিগুলো। আর আজ আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারতে তৈরি বিভিন্ন বাইক। উল্লেখ্য যে, বিদেশে বাইক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাজাজ সবথেকে এগিয়ে। তারা মোট ৯০টি দেশে বাইক রপ্তানি করে।
সারাবিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাজাজ পালসার, বক্সার-এর মতো বাইক। বাজাজ যে ৯০টি দেশে উপস্থিত তার মধ্যে ৫০% অর্থাৎ ৪৫টি দেশ আফ্রিকার। এছাড়া ২০% করে দক্ষিণ এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকা। বাকি ১০% রয়েছে বিভিন্ন আসিয়ান দেশে। এরপরই রয়েছে TVS, তারা মোট ৮০টি দেশে বাইক বিক্রি করে। হিরো মোটোকর্প উপলব্ধ রয়েছে ৪০টি দেশে।
বিক্রীর নিরীখে এরপরই রয়েছে Royal Enfield। ভারতের এই ব্র্যান্ড সারাবিশ্বেই বেশ বিখ্যাত। আর ২০২২ সালের হান্টার বিক্রীর নতুন রেকর্ড বানিয়েছে। ভারতে তো বটেই , সাথে বিদেশের মাটিতেও রমরমিয়ে চলছে হান্টার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, কলোম্বিয়া, মেক্সিকো, ইতালি, ফ্রান্স, ভারত সহ একাধিক দেশে বাইকটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।