বাংলা হান্ট ডেস্ক : এ লড়াই কোনও মোদি (Narendra Modi) বা অমিত শাহর (Amit Shah) বিরুদ্ধে নয়, বরং নীতি আদর্শহীন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) বিরুদ্ধে। বাংলা হান্ট কনক্লেভ ২০২৩-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে এভাবে বিজেপি ও তৃণমূলকে এক সারিতে রেখে কার্যত তুলোধোনা করলেন, তরুণ বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayan Banerjee)। তাঁর বিস্ফোরক ভাষণের পর বাংলার রাজনৈতিক দুনিয়ায় ফের একবার ভেসে উঠল ‘বিজেপি-তৃণমূল সেটিং তত্ত্ব’।
কী বললেন সায়ন? পেশায় আইনজীবী সায়ন এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই তুলে আনলেন বিরোধী জোটের কথা। তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরে ইন্ডিয়া, এনডিএ নিয়ে অনেক কথা হল। এরই মধ্যে, সংবাদমাধ্যমের একাংশ, কার্যত গোটা বিজেপি, বুদ্ধিজীবীদের একাংশ সিপিএম-র নিচুতলার কর্মীদের নিয়ে যা আগ্রহ দেখালেন সেই আগ্রহ যদি ৩৬৫ দিন সিপিএমকে নিয়ে দেখানো হয়, তাহলে ভারতের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হতে বাধ্য।’
এরপরই আক্রমণের অভিমুখ পরিবর্তন করে সায়ন সরাসরি নিশানা সাধেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী এলেন কবে? আমাদের প্রশ্ন করা হচ্ছে, সিপিএম তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধী জোটে গেল কিভাবে? সীতারাম ইয়েচুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক টেবিলে বসলেন কিভাবে? এবার শুনুন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদিঘীর নির্বাচনের পর ঘোষণা করেন তিনি কোনও বিরোধী জোটের অংশ হবেন না, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাহলে এখন পাটনা ব্যাঙ্গালোর দৌড়োচ্ছেন কেন?’
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সায়ন নিজেই। আর সেই উত্তর দিতে গিয়ে তিনি যা বললেন তা যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর। সায়ন বলেন, ‘বিরোধী জোট হয়েছে, কিন্তু সেই বিরোধী জোটের মধ্যে যে বিজেপির কোনও দালাল নেই তা কে বলতে পারে?’ তিনি আরও বলেন, ‘১:১ লড়াই-র কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলছেন না। এই পরিকল্পনা আসলে সিপিআইএমকে উৎখাত করার জন্যই করা হয়েছে।’
এরপরই সায়নের ভাষণে উঠে আসে বাংলায় দুর্নীতিতে সিপিআইএম-র ভূমিকা নিয়ে। তরুণ আইনজীবী বলেন, ‘দুর্নীতি কমিউনিস্টদের ভূমিকা একটাই, শুভেন্দু অধিকারী সহ সমগ্র দুর্নীতির কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতা। সায়নী ঘোষকে ইডি দুবার নোটিশ পাঠিয়েছে, একবার গেছেন, আর একবার যাননি। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সায়নী বক্তৃতা দিচ্ছেন আর ইডি-সিবিআই আঙুল চুষছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় দুবার ডেকে পাঠিয়েছে, একবাট গেছেন, আর একবার যাননি। সরাসরি বলেছেন তিনি ইডি-সিবিআই-র বাবা চাকর নন। এই কথা কোনও সাধারণ মানুষ বললে তাঁকে পুলিস তুলে নিয়ে যেত।’