বাংলাহান্ট ডেস্ক : পৃথিবীর যুগ যুগান্তরের সঙ্গী চাঁদ। রাতের আকাশে চাঁদকে দেখে কত কবি-সাহিত্যিকরা তাদের লেখার রসদ পান। আবার এই চাঁদকে সাক্ষী রেখে কত যুগল নিয়েছেন তাদের জীবন গড়ার শপথ। যুগ যুগান্তর ধরে চাঁদ সাক্ষী থেকেছে একের পর এক যুদ্ধ, মহামারী, ভালোবাসা কিংবা মন ভাঙার।
রাতের আকাশে চাঁদের আলোর মায়া সত্যিই মায়াবী। তবে সব সময় আমরা এই চাঁদকে খুব কাছে থেকে পাই না। কিন্তু আগস্টে আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে চাঁদ। চাঁদ ধীরে ধীরে হয়ে উঠবে সুপার মুন (Super Moon)। স্বাভাবিক দিনের থেকে এই সময় চাঁদকে ১৬ গুণ বড় দেখাবে। এমন সন্ধিক্ষণ খুব বিরল। আগষ্ট মাসে দুইটি পূর্ণিমা, আর এই দুই পূর্ণিমাতেই দেখা যাবে সুপার মুন।
শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০১৮ সালে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে আকাশে দেখা যাবে সুপার মুন। অন্যদিকে পরবর্তী পূর্ণিমা অর্থাৎ ৩০শে আগস্টও সুপার মুনের দেখা মিলবে। ২০২৩ সালের পর ফের ২০৩৭ সালে ঘটবে এমন সন্ধিক্ষণ।
চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। কিন্তু এই আকার সম্পূর্ণ গোলাকার নয়, অনেকটা ডিমের মতো। ফলে পৃথিবীর চারদিকে ঘোরার সময় চাঁদ কখনো পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, আবার কখনো অনেক দূরে চলে যায়। পৃথিবীকে একবার পাক খেতে চাঁদের গড় সময় লাগে ২৭ দিন।
এমন একটা সময় আসে যখন চাঁদ ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে। সেই সময় চাঁদকে আরও বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। সেই সময়টাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় পেরিজি। পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে সাধারণত দূরত্ব ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। এই দূরত্ব কমে পেরিজিতে হয় ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার কিলোমিটার আর এপোজিতে হয় ৪ লক্ষ ৫ হাজার কিলোমিটার।
চাঁদ ওই পেরিজি বিন্দুর কাছে পৌঁছাবে মঙ্গলবার। সাধারণত একটি পূর্ণিমা থেকে অপর পূর্ণিমার ফারাক হয় গড়ে সাড়ে ২৯ দিন। সঠিক হিসেব বলতে গেলে ২৯.৫৩১ দিন। আজ পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৩০ কিলোমিটার। সন্ধ্যার আকাশে মেঘ না থাকলে কলকাতা থেকেও স্পষ্ট ভাবে দেখা যাবে এই সুপার মুন।