বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পদ ছাড়তেই বিস্ফোরক সিউড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান (Chairperson) প্রণব কর। বিকাশ রায় চৌধুরীকে তুলোধোনা। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুপস্থিতিতে নিজেকেই কেষ্ট মনে করছেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক (Suri TMC MLA) বিকাশ রায় চৌধুরী। চাপ দিয়ে কাউন্সিলরকে পদ ছাড়তে বাধ্য করেছেন বিকাশ। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগে সরব প্রণব কর।
প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাস থেকে গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে কন্যা সহ তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। অনুব্রত চলে যাওয়ার পর থেকে কেমন বাদশা শুন্য বীরভূম। বারংবার গোষ্ঠীকোন্দল, দলের অন্দরে প্রায়শই বিবাদ। এরই মধ্যে সোমবার সিউড়ি পৌরসভার (Suri Municipality) সমস্ত রকম পদ থেকে ইস্তফা দেন পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব কর। একই সঙ্গে সরে দাঁড়ান কাউন্সিলর পদ থেকে।
কেষ্ট ঘনিষ্ঠ প্রণবের হঠাৎ পদত্যাগে অবাক হয়েছিল অনেকেই। একজোটে সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় নানান জল্পনা হলেও যাবতীয় জল্পনার অবস্থান টেনে সেদিনই প্রণববাবু জানান শারীরিক ও পারিবারিক সমস্যার কারণেই তার এই পদত্যাগ।
তবে পদ ছাড়ার একদিন যেতে না যেতেই বিস্ফোরক প্রণববাবু। তিনি বলেন, “কেষ্ট দার ছত্রছায়ায় রয়েছি। কেষ্ট দা আমাকে বসিয়েছে বলে ওর ক্ষোভ। ভেবেছে একে সরিয়ে আমার কাছের কাউকে বসাই। যে আমাকে টাকা দিতে পারবে। সেটা আমি পারব না বলেই এসব। আমার বিরুদ্ধে একটা প্রমাণও নেই। শুধুমাত্র কেষ্ট দা আমাকে বসিয়েছে বলে সরালো।”
যদিও প্রণববাবুর অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন বিকাশ রায় চৌধুরী। পাল্টা তিনি বলেন, “আমি তো আর দল পরিচালনা করি না। তা করার জন্য কোর কমিটি রয়েছে। সবাই একক ভাবে আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি। অনুব্রত মণ্ডল আমাদের মধ্যেই রয়েছে। ”
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গেছে, সেই পুরসভার কাউন্সিলারদের একাংশ একাধিকবার প্রণববাবুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত সিউড়ি পুরসভার ২১ জন কাউন্সিলরই তৃণমূলের। তার মধ্যে ১৩ জন আজ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে অনাস্থা আনেন প্রণব করের বিরুদ্ধে।
যদিও প্রণববাবুর দাবি, এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো রকম দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। অনাস্থা প্রসঙ্গে বলেন, “অনেকেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি।”