বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। বর্তমানে জোর কদমে চলছে তোড়জোড়। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটে যেতেই গত কয়েক সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে বঙ্গ–বিজেপির (BJP) ঘনঘন বৈঠক। চলছে রদবদলের কাজ। সম্প্রতি পরপর গেরুয়া বৈঠকে বাংলা থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বিজেপির প্রথমসারির নেতাদের। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ (Sukanta Majumdar, Suvendu Adhikari, Dilip Ghosh) তিন মহারথীই সাক্ষাৎ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে।
অন্যদিকে গত সপ্তাহেই সাংসদ দিলীপ ঘোষকে তার সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দল। সূত্রের খবর সুকান্ত, শুভেন্দুর পদ নিয়েও নয়া ভাবনা-চিন্তা চলছে দলের। ওদিকে দলের অন্দর থেকেই শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। সেখানে নাম আসতে পারে সুকান্ত-দিলীপের। অন্যদিকে, দু’জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে।
দলীয় সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও এই নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি নাকি সম্মতিও দিয়েছেন। অর্থাৎ বাংলা থেকে দু’জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার বিষয়টি মোটামুটি পাকা। আবার বিরোধী দলনেতার পদেও হতে পারে বিরাট রদবদল। জানা যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতা পদটি শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে (DR Shankar Ghosh) দিতে সহমত হয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
তাহলে শুভেন্দুর শুভেন্দুর কী হবে? জানা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করতে চান জেপি নড্ডারা। যদিও তাতে সম্মতি নেই খোদ শুভেন্দুর। এর কারণ যদি আসন্ন লোকসভায় বিজেপির হার হয় তবে বঙ্গ–বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকার কোনও মানে নেই। তার থেকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর প্রায় সমতুল্য বিরোধী দলনেতা পদ অনেক লক্ষী।
অন্যদিকে, দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ এই দুই সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদে বসানো হবে। জানা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের মন্ত্রী জন বারলাকে আর বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে মন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এই দুজনার পরিবর্তে পদে আসবেন সুকান্ত–দিলীপ।