বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মে মাসে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বর্তমানে জেলের ঘানি টেনেই দিন কাটছে তার। এই রহস্যময় কাকুর গ্রেফতারির পর থেকেই একের পর এক চঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে! অন্যদিকে এরই মধ্যে সুজয়কৃষ্ণ মামলায় ১২৬ পাতার চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সূত্রের দাবি, কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) বিপুল পরিমান সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কালীঘাটের কাকুর ১১ টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি গোয়েন্দা সংস্থার। সম্পত্তির লম্বা সেই তালিকায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট ও জমি।
এখানেই আবার কেউ কেউ কাকুর ভাগ্যের সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছেন জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ভাগ্যের। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত মে মাসে কেষ্টর বোলপুরের পৈতৃক বাড়ি বাদে যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সে সময় অনুব্রতের ১১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেষ্টও রয়েছে জেলে। এবার ভিন্ন মামলায় জেলবন্দি কালীঘাটের কাকুর বিপুল সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি।
সুজয় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে ইডির দাবি, কালীঘাটের কাকুর হদিস পাওয়া বেশিরভাগই রয়েছে খোদ কালীঘাটের কাকুর নিজের নামে। এছাড়াও সম্পত্তি রয়েছে তার স্ত্রী বাণী ভদ্র ও সুজয়কৃষ্ণের নিয়ন্ত্রিত দুটি কোম্পানির নামে।
১২৬ পাতার চার্জশিটে ইডি-র দাবি, দক্ষিণ কলকাতার লি রোডে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনে মেয়ে-জামাইকে উপহার দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। তবে এখানেও কারচুপির অভিযোগ এনেছে ইডি। ইডির দাবি, খাস কলকাতায় নেওয়া এই ফ্ল্যাটের ডিড ভ্যালু আড়াই কোটি দেখানো হলেও, এর বাজারমূল্য প্রায় সাত-আট কোটি।
অন্যদিকে, ওই ফ্ল্যাট যে সম্পূর্ণটাই সুজয়কৃষ্ণের টাকায় কেনা তা নাকি স্বীকারও করে নিয়েছেন তার মেয়ে পারমিতা ও জামাই দেবরূপ চট্টোপাধ্যায়। ইডির অনুমান দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়েই বিপুল পরিমান সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করে গেছেন কালীঘাটের কাকু। গোয়েন্দাদের মতে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মুখ্য চরিত্র এই কালীঘাটের কাকু।