বাংলা হান্ট ডেস্ক : সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার (America) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঠিক করার জন্য দিল্লিকে (Delhi) মধ্যস্থতার আর্জি জানান বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। আর এরই মাঝে আওয়ামি লিগের প্রতিনিধি দলের ভারতে আগমনের বিষয়টি উপমহাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে যখন আমেরিকা ‘অসন্তুষ্ট’, তখন ভারত সরকার এবং ভারতীয় জনতা পার্টি যে আওয়ামি লিগের (Awami League) ‘পাশে রয়েছে’, এই সফরে সেই বার্তাই যেন স্পষ্ট।
এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল বাংলাদেশে। সেদেশে আরও একটি সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে। এই আবহে কয়েকদিন আগেই অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অসম্মান করা ব্যক্তিদের মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না।’ এদিকে গত নির্বাচনগুলিতে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে এসেছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগ। এই সবের মাঝেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার দিকে মন দিয়েছে আওয়ামি লিগ। বিজেপির কাজের পদ্ধতি দেখানো হবে আওয়ামি লিগ প্রতিনিধি দলকে।
জানা গিয়েছে, ভারত সফরে আসা আওয়ামি লিগের প্রতিনিধি দলের সভাপতিত্ব করবেন সে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তথা দেশের কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তাছাড়াও পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও থাকবেন দলের যুগ্ম মহাসচিব তথা তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং বাংলাদেশের দুই মহিলা সংসদ সদস্য।
জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গেও দেখা করার কথা আওয়ামি লিগের প্রতিনিধি দলের। ‘বিজেপিকে চিনুন’ কর্মসূচির অধীনেই নাকি আওয়ামি লিগের প্রতিনিধি দলকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। দলগত ভাবে দুই দেশের শাসকগোষ্ঠীর সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতেই এই সফর। এদিকে সেপ্টেম্বরে জি২০-র সম্মেলনে যোগ দিতে শেখ হাসিনার আসার কথা দিল্লিতে। তার আগে আওয়ামি লিগের এই প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছল দিল্লি।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্ব এই নিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারে। তবে ভারত এই নিয়ে কথা বলবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে চিরকাল আমাদের বিশেষ সম্পর্ক থেকেছে। বাংলাদেশে যেটাই হয় না কেন, তার প্রভাব আমাদের এখানেও পড়ে। আর ভারত মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে চায়, সেদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন সেভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। আমরা চাই যাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়। কোনও হিংসা যাতে না হয়। এদিকে সেদেশের বিরোধী দল যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তুলেছে, সেই নিয়ে ভারতের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।’