বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ৫ই জুলাই বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই কর্মসূচীতে বহু কাটছাট হয়। সব দিক বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লক, পুর অঞ্চলে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতোই রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। আর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচীতেই আজব কাণ্ড দক্ষিণ দিনাজপুরে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) গঙ্গারামপুরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতাদের বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নিয়ম মেনেই ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছে তৃণমূল।
সব ঠিকঠাকই চলছিল। তবে হঠাৎই গঙ্গারামপুরের বাতাসকুড়ি মোড়ে অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে গেলেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক (Gangarampur BJP MLA) সত্যেন রায়। নিজের নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চে সশরীরে গঙ্গারামপুরের পদ্ম বিধায়ক। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ আর সেই বিক্ষোভেই কিনা খোদ সেই দলের বিধায়ক!
প্রথম অবস্থায় বিজেপি বিধায়ককে দেখে ‘থ’ লেগে যান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। কিছু বোঝার আগেই মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোনে নিয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন সত্যেন রায়। বলেন, ”আমিও আপনাদের এই দাবির সঙ্গে একমত। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার একসঙ্গে বসে ঠিক করুক, কীভাবে এই সমস্যা মেটানো যায়। এটা সরকারের দায়িত্ব, বিধায়কদের নয়।”
বিধায়কের এই বক্তব্যের পর তাকে বাহবা দেওয়া তো দূর, উল্টে তৃণমূল কর্মীরাই তারপর কাছে জবাবদিহি চেয়ে স্লোগান তুলতে শুরু করেন। বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে কোনও ক্রমে গাড়িতে তোলেন। তখনও তৃণমূল কর্মীরা বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিজেপি বিধায়কের এহেন কাণ্ড সাড়া ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্য-রাজনীতিতে।