আজীবনের আয় প্রভুর জন্য সমর্পিত! রাম মন্দিরের জন্য ৪০০ কেজির তালা বানিয়ে তাক লাগালেন বৃদ্ধ

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঈশ্বর বা আরাধ্য দেবতার চরণে সামগ্রী নিবেদন করার রীতি রেওয়াজ আজকের নয়। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই রীতি। সেই তালিকায় থাকে সোনা-দানা থেকে শুরু করে অর্থ ছাড়াও থাকে বিভিন্ন সামগ্রী। তবে আলিগড়ের এই ব্যক্তি রাম মন্দিরের জন্য যে বিশেষ উপহার এনেছেন তা দেখে চমকে গেছে সকলেই। রীতিমত খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন তিনি।

আসলে রাম মন্দিরকে নিয়ে এই দেশের মানুষের মনে এক অদ্ভুত আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে যে কবে এই মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত করা হবে! কানাঘুষা খবর, লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে আগামী বছর উদ্বোধন হতে পারে অযোধ্যার রাম মন্দিরের। ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে দরজা। আর তার আগেই এক বিশেষ উপহার নিয়ে হাজির আলিগড়ের এই ব্যক্তি।

উচ্চতায় ১০ ফুট, চওড়ায় ৪.৫ ফুট, পুরু ৯.৫ ইঞ্চি ও ৪০০ কেজি ওজনের এক তালা উপহার দিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষকে। এই অনন্য তালার সঙ্গে রয়েছে ৪ ফুটের একটি চাবিও। আর এই তালাটি তৈরি করেছেন তালার কারিগর সত্য প্রকাশ শর্মা। তিনি আরও বলেছেন, এই তালাটি বানাতে তাঁর অনেক মাস সময় লেগেছে। খরচ হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। তার দাবী, রাম মন্দিরের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এটি তৈরি করেছেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানিয়েছেন, রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ এই তালা গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছে তাঁকে। এরই সঙ্গে মন্দিরের কোন অংশে সেটি ব্যবহার করা যায় সেই বিষয়েও মন্দির কর্তৃপক্ষ চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটিই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় তালা বলে দাবি করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সত্য প্রকাশ শর্মা একজন ‘রামভক্ত’। তার পূর্বপুরুষরাও তালা তৈরি করে আসছেন। অনেকেই হয়ত জানেননা যে, আলিগড়কে তালা নগরী বলা হয়। এই তালা প্রসঙ্গে সত্যপ্রকাশ বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে তালা হস্তান্তর করবেন। এর আগে ২০২৩ সালের শুরুতে আলিগড়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক প্রদর্শনীতেও এই তালাটি দেখানো হয়েছিল। এরপর সত্য প্রকাশ শর্মা এতে কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, তিনি এটি নিখুঁত করতে চান।

images (4)

 

জানা যাচ্ছে সত্য প্রকাশ শর্মা এই তার এই স্বপ্নের তালা তৈরি করার জন্য জীবনের সমস্ত উপার্জনকেই কাজে লাগিয়েছেন। তার কথায়, “আমি কয়েক বছর ধরে তালা তৈরির ব্যবসা করছি। আমি রাম মন্দিরের জন্য একটি বিশাল তালা তৈরি করার কথা ভেবেছিলাম। আমাদের শহর তালা তৈরির জন্য বিখ্যাত কিন্তু এর আগে কেউ এমন কিছু করেনি।”

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর