বাংলাহান্ট ডেস্ক : সৌরনীলের মৃত্যুর পর বেহালার রাস্তার চিত্র বদলে গেছে অনেকটা। বেহালার বিভিন্ন অংশে বসেছে পুলিশ পিকেট। বিভিন্ন ক্রসিংয়ে লাগানো হয়েছে ড্রপ গেট। পাশাপাশি এবার কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) পক্ষ থেকে অবৈধ হকারদের (Hawker) ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
বেহালা চৌরাস্তার সেই দুর্ঘটনার পর রবিবার রাতে বিশেষ অভিযানে নামল প্রশাসন। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল ফুটপাতের উপরের দোকান। এর ফলে প্রায় দু ফুট করে চওড়া হল বেহালার রাস্তা। রাস্তার ধারের বেশ কিছু গুমটির মালিকের সন্ধান না পাওয়ায় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে সেই দোকানগুলি।
সৌরনীলের মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসিন্দারা এই দুর্ঘটনার দায় পুলিশের উপরই চাপান। তাদের অভিযোগ ছিল বেহালার রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ঠিকমতো কাজ করে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুরু হয় তদন্ত। এরপর বেহালার বিভিন্ন অংশের ট্রাফিকের চিত্র বদলে গেছে।
রাস্তা পারাপার করার জন্য বসানো হয়েছে ড্রপ গেট। যত্রতত্র রাস্তা পারাপার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেয় পুলিশ। এছাড়াও বাস বা অটোয় ওঠার জন্য দাঁড়াতে হচ্ছে নির্দিষ্ট জায়গায়। লরি দেখতে পেলে বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও শহরের অন্যত্র দেখা গিয়েছে পরিবহন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছবি।
নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে সকাল ছয় টার পর শহরে প্রবেশ করতে পারবে না লরি। এই সময়টা আগে ছিল সকাল ৮টা। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলির সামনে থাকছে ট্রাফিক পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণে কোনো মৃত্যু হলে আগে সেই দেহ তুলতে হবে ট্রাফিক পুলিশকে।
অন্যদিকে, শুক্রবার থেকে বন্ধ থাকার পর আজ ফের খুলল বরিশা হাই স্কুল। স্কুলের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। বাচ্চাদের নিয়ে অভিভাবকদের ডায়মন্ড হারবার রোডে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ কর্মীরা নজর রাখছেন যাতে পথচারীরা হাঁটার সময় ফুটপাত ব্যবহার করেন।