এই সি বিচে গেলেই ভুলে যাবেন দীঘা-পুরীর সৌন্দর্য! নিরিবিলিতে কাটবে সময়, চাঙ্গা হবে মন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখতে আর ভয়ঙ্কর সেই গর্জন শুনতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ বোধহয় সারা ভারতেই আছে। শুধু তাই নয়, শান্ত সমুদ্রের ধারে বসে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের সাক্ষী থাকতেও ভালোবাসেন বহু পর্যটকই। সেই কারণেই সারাবছরই ভারতের বিভিন্ন সি বিচ গুলোতে ভিড় জমান ভ্রমণপিপাসুরা। তেমনই একটি বিচ সেরেনিটি সমুদ্র সৈকত।

পন্ডিচেরিতে অবস্থিত সেরেনিটি সমুদ্র সৈকতটি অত্যন্ত মনোরম। এখানকার আবহাওয়াও সারা বছরই মোটামুটি ভালোই থাকে। সমুদ্র সৈকতের চারিদিকের পরিবেশও ফটোগ্রাফারদের জন্য অনেক আকর্ষণীয়। এছাড়াও আশেপাশে ঘুরতে যাওয়ার অনেক জায়গা আছে। সব মিলিয়ে সমুদ্রের ধারে দাঁড়ালেই মিলবে স্বর্গীয় তৃপ্তি।

একই সঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, এখানকার সমুদ্র কিন্তু খুবই শান্ত প্রকৃতির। তবে ভোরবেলা হওয়াতে সমুদ্রের ঢেউ তীব্র হয়ে যায়। এই সময় সমুদ্রের ধারে বসে সূর্যোদয় দেখার জন্য বহু পর্যটকের কাছেই এই সেরেনিটি বিচটি বিশেষ পছন্দের। তবে সূর্যাস্তের সময় এখানে আলাদা দৃশ্য চোখে পরে, নীল আকাশ হয়ে ওঠে কমলা বর্ণের।

বিকালের দিকে সমুদ্র থেকে আগত ঠান্ডা হাওয়া আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। বেশির ভাগ সময়েই এই বিচটি প্রায় জনশূন্য থাকে। ফলে একান্তে নির্জনে নিজের প্রিয় মানুষটির সঙ্গে সময় কাটাতে চাইলে এই সেরেনিটি বিচ একেবারে আদর্শ জায়গা। সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা পাম গাছ এবং সাদা বালি যেন এখানে একে অপরের পরিপূরক।

20230806 131652 1024x576

এখানে থাকার জন্য রয়েছে নামিদামি সব হোটেল। এছাড়াও আছে ভালো রেস্টুরেন্ট যেখানে ভালো কোয়ালিটির অথেনটিক সি ফুড পাওয়া যায়। এই সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য হাওড়া থেকে পন্ডিচেরি গামী ট্রেনে উঠতে হবে। স্টেশনে নেমে যে কোনো গাড়ি করেই পৌঁছে যাওয়া যাবে সেরেনিটি সমুদ্র সৈকতে (Serenity Beach)।

 

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর