বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দামের জেরে রীতিমতো জর্জরিত সকলেই। এমনকি, যানবাহন নিয়ে বাইরে বেরোতেই কালঘাম ছুটছে অধিকাংশজনের। এমতাবস্থায়, এহেন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজছেন সবাই। আর সেই কারণেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈদ্যুতিক যানবাহনের (Electric Vehicles) ব্যবহার। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়েই Tata Nano-কে রূপান্তরিত করে ফেলেছেন সোলার কারে (Solar Car)।
এমতাবস্থায়, এই গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে একধাক্কায় খরচের পরিমাণ কমে গিয়েছে অনেকটাই। শুধু তাই নয়, জেনে অবাক হবেন যে, এই সোলার কারের মাধ্যমে ১০০ কিমি পথ সফর করতে খরচ হবে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বাঁকুড়ার কাটজুরিডাঙার বাসিন্দা মনোজিৎ মন্ডল একটি Nano গাড়িকে সোলার গাড়িতে রূপান্তরিত করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, পেশায় ব্যবসায়ী মনোজিৎ বাবু সোলার কার তৈরির মাধ্যমে এক নতুন দিশাও দেখিয়েছেন সকলকে। ওই গাড়িতে প্রতি কিলোমিটার যেতে খরচ হয় মাত্র ৮০ পয়সা। এদিকে, ওই “বিশেষ” গাড়িতে কোনো ইঞ্জিন না থাকায় গাড়ি স্টার্ট দিলেও শব্দ হয় না। যদিও, গাড়িটিতে একটি গিয়ার সিস্টেম রয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই গাড়িটি চতুর্থ গিয়ারে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে প্রায় নিঃশব্দে চলতে পারে।
কেন বেছে নিলেন Nano গাড়িকে: জানা গিয়েছে, সৌরবিদ্যুৎ চালিত গাড়ি তৈরির জন্য Nano গাড়িকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণও রয়েছে। প্রথমত এই গাড়ি তুলনামূলক অনেকটাই ছোট হওয়ায় এটির ওজন কম। যার ফলে গাড়িটি চালাতে কম হর্সপাওয়ারের প্রয়োজন হবে।
এমতাবস্থায়, অল্প চার্জে বেশি রাস্তা অতিক্রম করতে পারবে গাড়িটি। এছাড়াও, Nano গাড়িতে একইসাথে পাঁচজন বসতে পারেন। ফলে সোলার কারে রূপান্তরিত হলেও এই গাড়ি ফ্যামিলি ড্রাইভের জন্যও খুব সহজে কাজে আসবে। শুধু তাই নয়, যাঁদেরকে প্রায় প্রতিদিনই বাইরে বেরোতে হয় তাঁদের জন্যও এই গাড়ি একদম উপযুক্ত।
উল্লেখ্য যে, ছোটবেলা থেকেই নতুন কিছু করতে চেয়েছিলেন মনোজিৎ মণ্ডল। আর সেখান থেকেই তিনি নিজের জন্য বানিয়ে ফেলেন এই সোলার কার। এমতাবস্থায় তিনি জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সর্বত্র ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত গাড়িও খুব কম সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও, এই গাড়ি ব্যবহার করলে জ্বালানি তেলের খরচ কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণও হ্রাস পাবে। অর্থাৎ, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের মত বড় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও সোলার কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানান তিনি।