বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন থেকে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। আজ বুধবার ঝাড়গ্রামে (Jharghram) বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখান থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের (Governor CV Ananda Bose) হস্তক্ষেপ ইস্যুতে তাকে তুলোধোনা তৃণমূল সুপ্রিমোর।
ঠিক কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন ঝাড়গ্রামে দাঁড়িয়ে সি ভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ মমতার। বলেন, “বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার করছে। এই বঞ্চনা বাংলার মানুষ সহ্য করে না। মানুষ একটু ভালবাসা চায়। জঙ্গলমহলে আমরা শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। এখন জঙ্গলমহলবাসী অনেক ভাল আছেন। ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি আমরা। আর আমাদের রাজ্যপাল কালো চশমা পরে জ্ঞান দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমরা পাঠালেও ফাইলে সই করেন না। অথচ কেরল থেকে নিয়ে এসে উপাচার্য করে দিচ্ছে।”
মমতার কথায়, “মনে রাখতে উপাচার্য হতে গেলে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।” এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য বিধানসভায় যে বিলটি পাশ হয়েছে সৎ সাহস থাকলে তাতে সই করে দিন। ছাত্রছাত্রীদের ডেকে বলছে দুর্নীতি, দাঙ্গা কাকে বলে। এটা রাজ্যপালের কাজ? না রাজ্যপালের কাজ সংবিধানে সীমাবদ্ধ করা আছে। গায়ের জোরে রাজ্য কিনে নিতে পারেন না। বলছে মুখ্যমন্ত্রী যা করছে আমিও তাই করছি।”
এরপর সরাসরি রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ মমতার। সিভি আনন্দ বোসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনি তাহলে দল তৈরি করুন। ভোটে জিতে আসুন। বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান। যদি জিততে পারেন। ১০০ বছরেও হবে না।” আজ ঝাড়গ্রামে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সিভি আনন্দ বোসকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মমতা।
রাজ্যপালকে একহাত নিয়ে মমতা আরও বলেন, “আলিয়ায় একজনকে ভিসি করেছেন যার শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে না আছেন উপাচার্য, আর না আছেন রেজিস্ট্রার। সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেওয়া যাচ্ছে না কাউকে। আমি মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করছি ব্যবস্থা করার। আজই আমি উপাচার্য স্থির করব। আমি জানি উপাচার্য করতে গেলে ৩টি নাম পাঠাতে হয়।” বুধবার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা।