বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই সময় থেকে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে ‘বীরভূমের বাঘ’র। বাংলা পেরিয়ে বর্তমানে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। স্বপরিবারের সেখানেই রয়েছেন কেষ্ট।
বৃহস্পতিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে গরু পাচারকাণ্ডে ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের (Saigal Hossain) হাত ভাঙার কারণে তাকে এমআরআই করতে সবদার গঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই কারণে তার শুনানি হয়নি।
ওদিকে এদিন ভার্চুয়াল শুনানিতে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতকে বলেন, ‘আপনি তো অনেকটাই রোগা হয়ে গিয়েছেন দেখছি’। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘হ্যাঁ সাহেব শরীরের রোগগুলো তো সবই রয়েছে তাই ওষুধ-পত্র সবই চলছে’।
আরও পড়ুন: কাল ঘাম ছুটছে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়াদের! এবার কোচবিহারের ৩১ জনাকে তলব CBI-র
পাশাপাশি অনুব্রত বলেন যে তাকে ইনহেলারও নিতে হচ্ছে এমনকি সবই ওষুধ তাকে তা নিয়মমাফিক খেতে হচ্ছে । সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তার সমস্ত অ্যাকাউন্ট সিজ করা আছে। তার ফলে ভীষণ সমস্যায় রয়েছেন। সামনে পুজো আসছে শ্রমিকদের পেমেন্ট দেওয়া যাবে না। তাই বিচারকের কাছে এদিন তার অন্তত একটা অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান কেষ্ট। আদালতে এই বিষয়ে লিখিত আবেদন করলে তারপরই তা বিবেচনা করা হবে বলে মন্তব্য করেন বিচারক।
এরপরে অনুব্রত বিচারককে বলেন, ‘শুনছি কেসটা দিল্লি চলে যাবে! আমরা দিল্লি যাব কেন? আমরা বাংলার মানুষ, আমাদের বাড়ি বাংলায়, আমরা দিল্লি যাব কেন?’ উত্তরে বিচারক বলেন, ‘দিল্লির কোর্ট বলেছে এখন আপনাকে রিমুভ করা যাবে না, তাই আপাতত ওখানেই থাকতে হবে’।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের প্রথম দিনই BJP-র বাজিমাত! নদিয়ার ৩ পঞ্চায়েতে যা কাণ্ড হল…
বিচারক বলেন যে এই বিষয়ে শুনানি শেষ হয়নি ।এই মামলা আগামী ১৯ আগস্ট তারিখে এই আদালতেই শুনানি হবে তারপরেই আদালত বিবেচনা করবে গরু পাচার মামলা স্থানান্তরিত হবে কি না। সবই আইন মেনে হবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। অনুব্রত বিচারকের কাছে জানতে চান তিনি কি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। তখন বিচারক বলেন আইন সবার জন্য। অবশ্যই যেতে পারেন। আগামী ১২ ই সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়।
এদিন কেষ্টর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, তারা জামিনের আবেদন করেননি। সংবাদমাধ্যমের সামনে আইনজীবী বলেন, “উনি (অনুব্রত) ওনার কিছু মনের কথা আজ বিচারককে বলেছেন। এবার সেগুলো আইন মেনে করা সম্ভব কি না সেসব আমরা আলোচনা করে ঠিক করবো। এতদিন ধরে তিনি হেফাজতে রয়েছেন। তাই নিজের মনের কিছু কথা বলেছেন।”
আইনজীবী আরও জানান, অনুব্রত মণ্ডল যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার কথা বলছেন তাতে তারা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেস ট্রান্সফারের যে আবেদন করেছেন তার বিরোধিতা অবশ্যই করবেন।