বাংলা হান্ট ডেস্ক : বৃহস্পতিবার লোকসভায় অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (AIMIM) সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) তুমুল কটাক্ষ করলেন বিজেপি এবং কংগ্রেসকে। ওয়াইসি বলেন, একদিকে প্রহরী, অন্যদিকে দোকানদার, কিন্তু সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হলে কেউ মুখ খোলেন না।
সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এসব লোক নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা না বললে তাঁদের দোকানদারি বন্ধ হবে, চৌকিদার বদলাবে এবং দেশ তৃতীয় ফ্রন্ট পাবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্পষ্ট করে বলা উচিৎ দেশ বড় নাকি হিন্দুত্ব ও গোলওয়ালকরের আদর্শ বড়?’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়েই আক্রমণ করেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, ‘দেশে দুটি ফ্রন্ট রয়েছে। একজন প্রহরী, আর একজন দোকানদার রয়েছেন। কিন্তু, আমরা যখন নির্যাতিত হই তখন কেউ মুখ খোলে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যখন ইউএপিএ আইন আনেন, তখন এই দোকানদাররা তাকে সমর্থন করেন।’
ওয়াইসি বলেন, ‘গত লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটারে নিজের নামের আগে চৌকিদার লেখেন। ভারত জোড় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধী ঘৃণার বাজারে ভালোবাসার দোকান খোলার স্লোগান দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদের লোকসভা সদস্য বলেন, ‘আমাদের মৃতদেহ নিয়ে আর কতদিন দোকানদাররা রাজনীতি করবেন? অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুললে দোকানদারি চলবে না, চৌকিদার বদল হবে, তৃতীয় ফ্রন্ট ক্ষমতায় আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের বিবেক কোথায় ছিল যখন নুহতে শত শত দালান ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং কোনো আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। ভারতে বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নাম না করেই জ্ঞানবাপী মামলার কথাও উল্লেখ করে ওয়াইসি বলেন, ‘তারিখের ক্ষতগুলিকে আঁচড় দেওয়া উচিত নয়। সরকারের উচিত সুপ্রিম কোর্টে স্পষ্ট করা বলা যে এটি ১৯৯১ সালের পূজা আইনের পক্ষে রায় দেওয়া হয়েছে।’